অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা

বঙ্গমাতার আদর্শই হতে পারে বাংলাদেশের অদম্য অগ্রযাত্রার চাবিকাঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৮:৫৫ এএম, ৯ আগস্ট ২০২০ রোববার   আপডেট: ০৫:৫১ পিএম, ৯ আগস্ট ২০২০ রোববার

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ৯০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।

কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপটে স্থানীয় নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব মেনে স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্যান্য শহীদ সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

এতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জীবন ও কর্মের উপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হয়।

বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

আলোচনা পর্বে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন,

“জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ আর বঙ্গমাতার রেখে যাওয়া আদর্শ হতে বাংলাদেশের এই অদম্য অগ্রযাত্রার চাবিকাঠি”।

আমরা যখন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ভাবি কিংবা তাঁর সম্পর্কে কথা বলি তখন স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে বঙ্গমাতার কথা, বলেন তিনি।

জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য থেকে নানা উদ্বৃতি উঠে আসে রাবাব ফাতিমার বক্তব্যে।

কীভাবে বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বঙ্গমাতা দলীয় কর্মকান্ড সচল রাখতে ভূমিকা রেখেছেন, কীভাবে অবলীলায় দলীয় কর্মী এবং দলের প্রয়োজনে তাঁর সঞ্চিত অর্থ ব্যয় করেছেন; ৬ দফা, ৭ মার্চের কালজয়ী ভাষণসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে বঙ্গবন্ধুকে অটল থাকতে কীভাবে বঙ্গমাতা সাহস যুগিয়েছেন, অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করেও হাসিমূখে কীভাবে সংসার আগলে রেখেছেন তার নানা দিক তুলে ধরেন রাবাব ফাতিমা।

“একবিংশ শতাব্দীর আজকের এ ডিজিটাল পৃথিবী বঙ্গমাতাকে আরো নতুনভাবে জানবার ও হৃদয়ে ধারন করবার সুযোগ করে দিয়েছে। প্রবাসে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মের শিশু কিশোররা যাতে বঙ্গমাতা সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে পারে সে বিষয়ে আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রয়াস গ্রহণ করতে হবে”, বলেন তিনি।

আলোচনা পর্বে মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরাও অংশ নেন। তারা বঙ্গমাতাকে জাতির পিতার রাজনৈতিক সাফল্যের অনন্য উৎস বিন্দু হিসেবে উল্লেখ করেন।