অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

এখনও হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আসে: অর্থমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৬:০৯ পিএম, ৩ আগস্ট ২০২২ বুধবার  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

দেশে এখনও হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা আসে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমি আগে একটি স্টাডি করে দেখেছিলাম, অফিসিয়াল চ্যানেলে এসেছে ৫১ শতাংশ আর হুন্ডিতে এসেছে ৪৯ শতাংশ। আমি মনে করি, সেই ধারাবাহিকতা এখনও আছে।

বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বে অফিসিয়াল চ্যানেলে টাকা আনার প্রাধান্য পায়, আমরাও সেভাবে প্রাধান্য দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সবসময় তাদের উৎসাহিত করতে বলেন। এই টাকা তাদের টাকা। পরবর্তীকালে তারা যেকোনও কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আনলে প্রশ্ন উঠবে, তারা টাকা পেলো কোথায়।’

হুন্ডিতে টাকা পাঠানোর পরিমাণ বেড়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এখনও হুন্ডি তো আছেই। আমাদের কাছেও তথ্য আছে— এখনও হুন্ডির মাধ্যমে টাকাপয়সা আসে। যাতে করে কম আসে, সেটি নিরুৎসাহিত করতে আমরা তাদের সুফলটা বলছি। প্রধানমন্ত্রীও সেটি করেছেন। রেমিট্যান্স আমাদের অন্যতম একটি খাত। আমাদের রফতানি বাণিজ্যের পরে রেমিট্যান্সের কারণে আমাদের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে এবং অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। আমি মনে করি, এটি আমাদের জন্য ভালো লক্ষণ।’

প্রবাসীদের প্রতি হুন্ডিতে না পাঠিয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠাতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় অফিসিয়াল চ্যানেলে বিদেশ থেকে টাকা আসুক, সেটা প্রত্যাশা করি। কারণ, এটার যে সুফল সেটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। হুন্ডির মাধ্যমে যদি টাকা নিয়ে আসেন, সেটিকে অবৈধ বলবো না, সেটি কালো টাকা। যারা সেই টাকা হুন্ডির মাধ্যমে নিয়ে আসেন, তারা সবসময় বিবেকের কাছে দায়ী থাকবেন। তাদের আস্তে আস্তে অনেক টাকা হয়ে গেলে সেটি কিন্তু রেকর্ড করতে পারছেন না। কারণ, হুন্ডির টাকা রেকর্ড করা যায় না। কখনও  ইনকাম ট্যাক্স বা রেগুলেটরি অথরিটি এ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে জবাব দিতে পারবেন না।’

কী পরিমাণ টাকা হুন্ডিতে আসে, সেটির কোনও পরিসংখ্যান আছে কিনা, জানতে চাইলে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমার এই মুহূর্তে কোনও ধারণা নাই। আমি আগে একটি স্টাডি করে দেখেছিলাম, প্রায় কাছাকাছি অফিসিয়াল চ্যানেলে এসেছে ৫১ শতাংশ, আর হুন্ডিতে এসেছে ৪৯ শতাংশ। সেজন্য আমি মনে করি, সেই ধারাবাহিকতা এখনও আছে।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি অফিসিয়াল চ্যানেলে আনতে পারি কেন আসবে না। অফিসিয়াল চ্যানেলে আনলে তো লস হচ্ছে না। তাদের জন্য কেবল প্রণোদনা না, তাদের স্বীকৃতিও দেওয়া হচ্ছে। তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মও কিন্তু এটি সুন্দরভাবে ভোগ করতে পারবে। এতে প্রশ্ন বা দায়বদ্ধ থাকবে না।’
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ঋণের প্রস্তাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আইএমএফ তো এ ধরনের কোনও প্রশ্ন আমাদের কাছে উপস্থাপন করেনি। আপনারাই পত্রিকায় লিখছেন। এটা নিয়ে আমি জবাবে দেবো না। এটা কেন আপনারা বলছেন আমি জানি না, কেন বলছেন তাও জানি না। সাংবাদিক হলেও  দেশের প্রতি তাদের দায়িত্ব আছে।