সৌদি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধির আহবান
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১৪ পিএম, ১ আগস্ট ২০২২ সোমবার
সৌদি আরবের তাবুক প্রদেশের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির আহবান জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
সৌদি আরবের তাবুকের চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ইমাদ সাদাদ আল ফাখরির সাথে বৈঠককালে তিনি এ আহবান জানান। আজ ঢাকায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার জন্য সৌদি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের অনুরোধ করেন। সৌদি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে বলে তিনি এসময় উল্লেখ করেন। এছাড়া সৌদি বিনিয়োগকারীদের জন্য আলাদা ইকোনমিক জোন তৈরির বিষয় বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনায় রয়েছে বলে চেম্বার সভাপতিকে জানান রাষ্ট্রদূত।
এ সময় চেম্বার সভাপতি ইমাদ সাদাদ আল ফাখরি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সৌদি আরবের নিওম সিটি প্রকল্প ও রেড সি প্রকল্পের সুবিধাজনক খাতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করতে পারেন বলে জানান। এ দুটি প্রকল্পে বিনিয়োগের বিষয়ে তাবুক চেম্বার সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছে।
চেম্বার সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ সৌদি আরবে কেবল একটি অভিবাসী কর্মী প্রেরণকারী দেশই নয়, বরং দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধির অনেক সম্ভাবনা রয়েছে, যা আমাদের কাজে লাগাতে হবে।
এ সময় রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বাংলাদেশ ঔষধ, সিরামিক পণ্য, কৃষিজাত পণ্য এবং ইলেকট্রনিকস পণ্য খাতে বিনিয়োগ করতে পারে বলে জানান। এ সকল খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরে বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজনীয় ঔষধ আমদানীর জন্য সৌদি ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানান তিনি। এছাড়া বাংলাদেশের হস্তশিল্প, তৈরি পোশাক ও চামড়াজাত পণ্য আমদানির জন্য ও সৌদি ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেন রাষ্ট্রদূত।
মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়ন ও বাংলাদেশের ভিশন ২০৪১ বস্তবায়নে একযোগে কাজ করার বিষয়ে সহায়তা কামনা করেন। তাবুক চেম্বারের প্রায় ৩২ হাজার সদস্য রয়েছে। সভায় তাবুক চেম্বার অব কমার্সের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী তাবুক বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি রেক্টর অধ্যাপক আবদুল্লাহ এম আলথিয়াবি-এর সাথে বৈঠক করেন।
এ সময় রাষ্ট্রদূত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের ছাত্রদের বৃত্তি বৃদ্ধির জন্য রেক্টরকে অনুরোধ করেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ থেকে শিক্ষক নিয়োগের অনুরোধ জানালে কয়েকজন বাংলাদেশি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছেন বলে রেক্টর জানান। এখানে কয়েকজন বাংলাদেশি ছাত্র অধ্যয়ন করছে। বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা বৃত্তির আওতায় আরো শিক্ষার্থী নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন রেক্টর। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।
সভায় জেদ্দাস্থ বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোঃ নাজমুল হক ও দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।