অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

আড়ং এর পোশাকে নুহাশ হুমায়ূন ও অভিনেত্রী সুনেহরা

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৭:১৪ পিএম, ২৮ জুলাই ২০২২ বৃহস্পতিবার  

দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৬তম বুসান আন্তর্জাতিক ফ্যান্টাস্টিক ফিল্ম ফেস্টিভালে (বিফান) 'জুরি'স চয়েস অ্যাওয়ার্ড' লাভ করা বাংলাদেশি চলচ্চিত্র 'মশারী' এর পরিচালক নুহাশ হুমায়ূন এবং অভিনেতা সুনেহরা বিনতে কামাল বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্যাশন এবং লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ং-এর ডিজাইন এবং স্টাইলকৃত পোষাকে।   

নুহাশ হুমায়ূনের পরিহিত বেগুনি-নীল রঙের এসিমেট্রিক পাঞ্জাবিটি জয়শ্রী সিল্ক দিয়ে তৈরি এবং জ্যামিতিক অ্যাপ্লিক নকশায় তৈরি করা হয় পাঞ্জাবীর সাথের কটি। রেমি সুতির পায়জামা দিয়ে পাঞ্জাবিটি সম্পূর্ণ করা হয়। 

সুনেহরার পড়া শাড়িটি ছিল একটি নীল-সবুজ রঙের হাফ-সিল্ক জামদানি শাড়ি যেটি ম্যাট সোনালি জরি সুতোয় তৈরি। জামদানি শাড়িটির পাশাপাশি সুনেহরার পরায় ছিল অফ শোল্ডার ব্লাউজ যার অন্যতম আকর্ষণ ছিল হাতের কারুকাজ করা নীল-সবুজ রঙের অলংকৃত পাথরযুক্ত রুপালী হাতা।  

জামদানি শিল্পটি হচ্ছে মুলত হ্যান্ডলুম কারিগরদের তৈরি বিশেষ একটি বুনন প্যাটার্ন এবং বহু শতাব্দী ধরে বাংলায় একটি চর্চা হয়ে আসছে। জামদানির এই ঐতিহ্যবাহী বুনন শিল্পটিকে ২০১৩ সালে ‘ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো। জামদানি মোটিফের নকশাগুলির বেশিরভাগই স্মৃতি থেকে কারিগররা বুনে থাকেন এবং এভাবেই এই শিল্পের বুনন পদ্ধতির শিক্ষা এক প্রজন্মের কারিগর থেকে অন্য প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়ে। আড়ং জামদানির এই মোটিফগুলির নথীকরন এবং এই শিল্পের সার্বিক পুনরুত্থানের জন্য সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। 

১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত আড়ং হল বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের একটি সামাজিক উদ্যোগ। প্রান্তিক কারিগরদের, বিশেষ করে মহিলাদের নিজেদের তৈরি পণ্যের বাজারজাতকরণের সুবিধা করে দিতে এবং দেশের সমৃদ্ধশালী হস্তশিল্পের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে আজ আড়ং বাংলাদেশের প্রায় ৬৫০০০ আরটিসানের সাথে কাজ করছে। বাংলাদেশে আড়ং এর মোট ২৫টি আউটলেট রয়েছে এবং এর ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, আড়ং ডটকমের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, সিঙ্গাপুর এবং সমগ্র আরব আমিরাতে কারুশিল্পীদের তৈরি পণ্য সরবরাহ করছে।