প্রাথমিকের শিক্ষক বদলি আগস্টে, মহানগরে পরে
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৩:৩৯ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২২ বুধবার
ফাইল ছবি
সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক বদলি কার্যক্রম অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সম্পন্ন করা হবে। আগামী আগস্ট মাস থেকে এ কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তবে আপাতত ঢাকাসহ দেশের ১১টি মহানগর এলাকায় শিক্ষক বদলি করা হবে না। এজন্য আলাদা নীতিমালা করা হবে।
বুধবার (২৭ জুলাই) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সফটওয়্যারে শিক্ষক বদলি কার্যক্রমের পাইলটিং কাজের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এসব তথ্য জানান।
এসময় প্রতিমন্ত্রী জানান, সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক বদলি কার্যক্রম অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সম্পন্ন করা হবে। আগামী আগস্ট মাস থেকে এ কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হবে। তবে আপাতত ঢাকাসহ দেশের ১১টি মহানগর এলাকায় শিক্ষক বদলি করা হবে না। এজন্য আলাদা নীতিমালা করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় ১৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক বদলি পাইলটিং শুরু করা হয়। সেখানে ২৬ জন শিক্ষক বদলির জন্য আবেদন করেন। এর মধ্যে যোগ্যতা না থাকায় তিনটি আবেদন অটোমেটিক বাতিল হয়ে যায়। বাকি ২৩টি আবেদন জমা হয়।
তিনি বলেন, শিক্ষকের নিজস্ব কোড ও পাসওয়ার্ড দিয়ে সফটওয়্যারে প্রবেশ করতে হবে। বদলির জন্য নিজের তথ্য ও যৌক্তিক কারণ উল্লেখ করতে হবে। একজন শিক্ষক তিনটি বিদ্যালয় চয়েজ দিতে পারবেন। স্বামীর কর্মস্থল, সিনিয়রিটিসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে স্কোরিং করে বদলির জন্য যোগ্যদের নির্বাচন করা হবে। একজন ব্যক্তি অন্যজনের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
জাকির হোসেন বলেন, আগামী মাস (আগস্ট) থেকে সারাদেশে বদলি কার্যক্রম শুরু হবে। উপজেলার মধ্যে শিক্ষক বদলি করা হবে। তবে আপাতত দেশের ১১টি মহানগরে শিক্ষক বদলি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে। মহানগরে বদলির জন্য নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে কোনও ধরনের অনিয়ম করার সুযোগ নেই। শিক্ষক আবেদন করার পর প্রধান শিক্ষক সেটি উপজেলা পরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে দেবেন। কর্মকর্তারা শুধুমাত্র সম্মতি দিতে পারবেন। এজন্য তিন কার্যদিবস সময় পাবেন। এর মধ্যে সম্মতি দেওয়া না হলে সেটি অটোমেটিক পাস হয়ে যাবে। তবে সম্মতি না দিলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, দ্বন্দ্বের কারণে প্রধান শিক্ষক কোনও সহকারী শিক্ষকের বদলির আবেদন অহেতুক বাতিল করলে এ বিষয়ে উপজেলা, জেলা বা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর পর্যন্ত অভিযোগ জানানো যাবে। দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী গাজীপুরের একজন শিক্ষককে বদলি করে পাইলটিং কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।