অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বাবা-মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ডেপুটি স্পিকার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, গাইবান্ধা

প্রকাশিত: ০৭:৪৩ পিএম, ২৫ জুলাই ২০২২ সোমবার   আপডেট: ০৭:৪৮ পিএম, ২৫ জুলাই ২০২২ সোমবার

গাইবান্ধায় বাবা-মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন জাতীয় সংসদের প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। 

সোমবার (২৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গাইবান্ধার সাঘাটার হেলেনচা গ্রামে তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা তার রাজনৈতিক সহচর, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ হাজারো মুসল্লি অংশ নেন।

এর আগে দুপুর দেড়টায় হেলিকপ্টারে করে নিজ গ্রামে ফজলে রাব্বী মিয়ার মরদেহ এসে পৌঁছায়। এরপর মরদেহ স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীরা নিয়ে যান ভরতখালী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ অংশ নেন।

গত শুক্রবার (২২ জুলাই)  যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।

গাইবান্ধা-৫ আসনের এই সংসদ সদস্য ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ফয়জার রহমান এবং মাতার নাম হামিদুন নেছা।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ফজলে রাব্বী মিয়া মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। তিনি ১১নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। এছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বৈশ্বিক জনমত গড়ে তুলতে তিনি কাজ করেছেন।

ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালে চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১৯৯৬ সালে ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হন।

২০০৮ সালে নবম, ২০১৪ সালে দশম ও ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।