অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

চীনের চিয়াংশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক উৎসবে বাংলাদেশ

ছাইয়েদুল ইসলাম, চীন থেকে

প্রকাশিত: ০৫:৪৯ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০২০ বুধবার   আপডেট: ০৯:৫৩ এএম, ১৯ নভেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার

চীনের চিয়াংশি প্রদেশের নানছাং শহরে চিয়াংশি ইউনিভার্সিটি অব ফিন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসব হয়েছে। এতে বাংলাদেশি স্টলে এসে প্রশংসা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

গত শনিবার (১৪ নভেম্বর) বিকালে বাছিয়াও গার্ডেনের উত্তর অঞ্চলের রাইজিং স্কয়ারে এই উৎসব হয়। এবার অনুষ্ঠানের থিম ছিল ‘ক্যাম্পাসে পুনর্মিলন’। এতে বাংলাদেশের পক্ষে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন পিএইচডি গবেষক মোহাম্মদ ছাইয়েদুল ইসলাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত মরোক্কান শিক্ষার্থী ইমানে আফকির ইউনী এবং চীনা শিক্ষার্থী লিয়াং চিয়ানইয়াংয়ের যৌথ উপস্থাপনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ক্যাম্পাসের প্রেসিডেন্ট ডক্টর তং হুই।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রদূত অ্যান্ডারসন এন. মাদুবাইক, নাইজেরিয়া কনস্যুলেট জেনারেল, সাংহাই এবং কনস্যুলার শিক্ষা অফিসের পরিচালক মিস জয়নব জয় মনডু। বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা, বিদেশি শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা হাজির ছিলেন।

আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসবে বাংলাদেশি একটি স্টল ছিল। তাতে খিচুরি, পিঠা, পাকোরা, সমুচা, চিকেন রোল, পায়েস, মিষ্টি, হাঁসের মাংস ভুনাসহ অন্যান্য খাবার  থরে থরে সাজানো হয়। এছাড়া রয়েল বেঙ্গল টাইগার, জাতীয় ফুল-ফল-পাখি এবং দর্শনীয় স্থানের ছবি প্রদর্শন করা হয়। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল জাতীয় পতাকা অঙ্কন এবং বাংলাদেশি ফ্রেমে ছবি তুলা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মো. আকবর হোসেন একটি চীনা গানের পারফরম্যান্সে অংশগ্রহণ করেন।অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতায় ছিলেন মো. ওলিউদ্দিন, মো. মাহমুদুর রহমান রোকন, মো. হাচিবুল হক, আরিফ আহম্মেদ, ফাহিম সৈয়দ মোহাম্মদ, ফারহানা জামান রজনী, শাহরিয়ার বিন সারওয়ার, তৌহিদুল আনাম রুহান, মো. খালিদ হোসেন (শাকিল), তানভীর ইসলাম, মো. মামুন, মো. নাদিমুল আকরাম, মো. রুমন হোসেনসহ আরো অনেকে।

বিভিন্ন দেশ থেকে আগত শিক্ষার্থীরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে নিজ দেশের নৃতাত্ত্বিক কারুশিল্প, গেম ক্রিয়াকলাপ এবং বিশেষ রান্নার মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতি ও স্থানীয় রীতিনীতি প্রদর্শন করেন। সাংস্কৃতিক উৎসবে স্কয়ারের উভয় পাশে বিদেশি স্টলসহ একটি চীনা সংস্কৃতি প্রদর্শনী স্টল ছিল। এছাড়া বাছিয়াও গার্ডেনের উত্তর অঞ্চলের রাইজিং স্কয়ারে চিত্র প্রদর্শনী করা হয়।

উৎসবে বাংলাদেশ, চীন, মরোক্কো, বেনিন, তানজানিয়া, নাইজেরিয়া, নিরক্ষীয় গিনি, গিনি, ঘানা, নামিবিয়া, লাইবেরিয়া, জিম্বাবুয়ে, কঙ্গো, ইথিওপিয়াসহ ১৪টি দেশ অংশগ্রহণ করে। ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসবে দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। তাছাড়া প্রায় ৫০ হাজার লোক অনলাইনের মাধ্যমে এই মনোরম সাংস্কৃতিক উৎসব উপভোগ করেন।