অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

৩০০০ কি. পাড়ি দিয়ে সঙ্গিনীর অপেক্ষায়

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ০২:৩৮ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০২০ বুধবার   আপডেট: ০৩:৫৮ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০২০ বুধবার

সঙ্গীর সন্ধানে মানুষ কি না করে! মনের মানুষ খুঁজে পেতে এখানে, ওখানে, সেখানে যায়। প্রয়োজনে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তেও ছুটে যায়। 

কেবলেই কী মানুষ? বণ্যপ্রাণির মধ্যেও কখনও কখনও এমনটা দেখা যায়। সম্প্রতি ৯ মাসে ৩০০০ কিলো মিটার পাড়ি দিয়েছে ভারতের একটি বাঘ। এটি দেশটিতে কোনো বাঘের সর্বোচ্চ পথ অতিক্রম করার রেকর্ড। বনবিভাগের কর্মীরা মনে করছেন, কোনও বাঘিনীর সন্ধানেই বুঝি  এই দীর্ঘ পদযাত্রা বাঘটির। বাঘের গলায় বেঁধে দেওয়া কলার থেকেই সেটির গতিবিধির ওপর নজর রাখছিলো বনবিভাগ।

বাঘটির নাম ফন্ডলি। বনবিভাগের কর্মীরা নতুন নাম দিয়েছেন ওয়াকার। বয়স এখন সাড়ে তিন বছর। মহারাষ্ট্রের একটি অভয়ারণ্যে জন্ম ও বড়ো হয়ে ওঠা। ২০১৯ সালের জুনের কোনও একদিন বাঘটিকে অভয়ারণ্য ছাড়ে। এরপর জঙ্গলে জঙ্গলে মহারাষ্ট্র ও পাশের অঙ্গরাজ্য তেলেঙ্গানার মধ্য দিয়ে ৭টি জেলা অতিক্রম করে। মোট পাড়ি দেয় ৩০০০ হাজার কিলিমিটার। অবশেষে মহারাষ্ট্রেরই আরেকটি অভয়ারণ্যে ঠাঁই নেয়। 

তবে দেনায়াঙ্গানা অভয়ারণ্যে এখন একাই বাঘ এই ওয়াকার। এটি মূলত চিতাবাঘ, নীল ষাঁড়, বুনো শুকর, ময়ূর ও ডোরাকাটা হরিণের অভয়ারণ্য। 

কর্তৃপক্ষ ভাবছে ওয়াকারকে একটি সঙ্গী দেওয়ার কথা। শিগগির হয়তো সেই ব্যবস্থা হয়ে যাবে। তবে সেটা হবে সম্পূর্ণ অভিনব এক ঘটনা। এর আগে কখনো অভয়ারণ্যে এমনটা করা হয়নি। 

বনকর্তারা বলছেন, বাঘ এমন এক প্রাণি  যা সঙ্গী ছাড়া থাকতেই পারে না। তাই ওয়াকারকে সঙ্গী দেওয়াও জরুরি।

ফন্ডলির আগের অভয়ারণ্যের এক কর্মকর্তাও তেমনটাই বলেছেন। তিনি বলেন ওখানে বাঘটির কোনো সমস্যা ছিল না। মূলত সাথীর খোঁজেই বাঘটি ওই স্থান ছেড়ে যায়। 

এদিকে দেনায়াঙ্গানা অভয়ারণ্যটা মাপে ছোটো। মাত্র ২৫০ বর্গ কিলোমিটারের এই অভয়ারণ্যে বাঘের পপুলেশন বাড়ালে বিপদই ডেকে আনা হবে, ভাবছেন বন কর্তারা। কারণ এই অভয়ারণ্যের আশেপাশে বেশকিছু ফার্ম রয়েছে, এবং জঙ্গলও হালকা। তাছাড়া এখানে বাঘ বাড়লে একসময় তার জন্য শিকার স্বল্পতাও দেখা দেবে।