সালমান খানকে হত্যা করতে রাইফেল কিনেছিলেন বিষ্ণোই
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৩২ পিএম, ১৩ জুলাই ২০২২ বুধবার
সময়টা খারাপ যাচ্ছে বলিউডে ভাইজান সালমান খানের। হত্যার হুমকির মুখে ঈদের দিন বাড়ির সামনে অপেক্ষারত ভক্তদের সঙ্গে দেখা করেন সালমান। তার ওপর হত্যার পরিকল্পনাকে ঘিরে এখন একের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য আসছে। পাঞ্জাবের গায়ক-নেতা সিধু মুসেওয়ালা খুনের সঙ্গে জড়িত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই পুলিশি জেরার মুখে বিস্ফোরক তথ্য জানিয়েছে। তিনি স্বীকার করেছেন যে ২০১৮ সালে সালমান খানকে খুন করতে চেয়েছিল। আর তার জন্য চার লাখ টাকা রাইফেলও কিনেছিলেন।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল জানিয়েছে, বিষ্ণোই পুলিশকে জানিয়েছে সালমানকে খুন করতে চাওয়ার কারণ হচ্ছে ১৯৯৮ সালের কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলা। হাম সাথ সাথ হ্যায় সিনেমার শুটিং চলাকালীন রাজস্থানের যোধপুরে এই ঘটনা ঘটে।
চলতি বছরের জুন মাসে হুমকি চিঠি পান সালমান খান, মনে করা হয়েছিল তা দিয়েছে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের তিন সদস্য। যেখানে সলমন ও তাঁর বাবাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। লেখা হয়েছিল, তাদের ভাগ্যও সিধু মুসেওয়ালার মতো হবে।
বিষ্ণোই জেরার মুখে আরও জানিয়েছেন, কৃষ্ণসার হরিণকে হরিয়ানা, রাজস্থান ও পাঞ্জাবে দেবতা হিসাবে পুজা করে বিষ্ণোই সম্প্রদায়। প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালের অক্টোবরে ২টি কৃষ্ণসার হরিণ মারার অপরাধে সালমান খানকে ২০১৮ সালের এপ্রিলে যোধপুর আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেয়। অভিনেতা এই সাজার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানান। যোধপুর জেলে থাকার পর তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ভরতপুর জেলে। জেরায় লরেন্স জানিয়েছেন, তিনি তার সহযোগী সম্পত নেহেরাকে বার্তা দিয়েছিলেন সালমানকে খুন করার জন্য। সম্পত এখন অন্য মামলার কারণে পলাতক।
সূত্রের খবর লরেন্স বিষ্ণোই পুলিশকে জানিয়েছেন, সালমান খানকে মারার জন্য সম্পত নেহরা মুম্বই যায় এবং অভিনেতার বাড়ি রেইকি করতে শুরু করে। কিন্তু সম্পতের কাছে শুধু পিস্তল ছিল এবং দূর থেকে মারা যাবে এমন কোনও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না, যা দিয়ে সালমান খানের ওপর দূর থেকে হামলা করা যাবে। এরপর দীনেশ দাগার নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে গ্যাংস্টার আরকে স্প্রিং রাইফেল অর্ডার করে, যার দাম ৪ লাখ টাকা। এই রাইফেলটি পরে ২০১৮ সালে দাগারের কাছ থেকে উদ্ধার হয়।
গত ৬ জুলাই সালমান খানের কৃষ্ণসার হরিণ মামলার আইনজীবী হস্তি মাল দাবি করেন, তাকেও প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং।