অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

করোনার লড়াইয়ে বাংলাদেশকে ১০০ ভেন্টিলেটর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৭:৩৩ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০২০ রোববার  

এই সহায়তা বিগত বিশ বছরে বাংলাদেশকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি স্বাস্থ্য সহায়তা এবং ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে কোভিড -১৯ মোকাবেলায় দেওয়া ৬৮.৭ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি সহায়তার সাথে যুক্ত হলো, এমনটাই বলা হয়েছে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে। 

কোভিড-১৯ মোকাবেলা তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ১০০টি ভেন্টিলেটর দেওয়ার পর দূতাবাস তার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা উল্লেখ করেছে।

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ও ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি)'র মাধ্যমে ১০০ টি ভেন্টিলেটর রবিবার (১৫ নভেম্বর) হস্তান্তর করা হয়। 

সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের পরামর্শ সভায় অধিকতর নিরাপদ অর্থনীতির জন্য জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সহযোগিতা জোরদার করার যে রূপরেখা নেওয়া হয়, এই সহায়তা তারই বাস্তবায়নে অবদান রাখবে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই ভেন্টিলেটরগুলো:

- আমেরিকার অত্যাধুনিক ও সেরা প্রযুক্তিতে তৈরি;
- এগুলো আকারে ছোট ও পরিচালনা করা সহজ 

করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্‌সা করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশি চিকিত্‌সা সেবাদানকারীদের এই ভেন্টিলেটরগুলো অনেক বেশি সুবিধা দেবে। ভেন্টিলেটারগুলো শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় গুরুতরভাবে অসুস্থ রোগীদের জীবন রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। 

ইউএসএআইডি অনুদান হিসেবে শুধু যে ভেন্টিলেটরগুলো দিচ্ছে তা নয়, ভেন্টিলেটারগুলো স্থাপনে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে সরঞ্জামসহ সহায়তা করা ও পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণও প্রদান করবে, জানায় দূতাবাস।

ভেন্টিলেটর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার বলেছেন: "কোভিড-১৯ অতিমারি 
স্বাস্থ্যখাতে বিশ্বব্যাপী নজিরবিহীন  হুমকি তৈরি করেছে। শুধুমাত্র অংশীদারিত্ব এবং সহযোগিতার মাধ্যমেই আমরা মানুষের সুস্থ ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে পারব। এই অনুদান কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বাংলাদেশের চলমান প্রচেষ্টার পরিপূরক এবং সঙ্কটের মধ্যে থাকা বাংলাদেশের জনগণকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নকে তুলে ধরেছে।"

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ইতোমধ্যে দেয়া ৬৮.৭ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি সহায়তার মাধ্যমে

- বাংলাদেশি ল্যাবরেটরিগুলোর কোভিড-১৯ পরীক্ষা করার সামর্থ্য জোরদার করা হয়েছে; 
- কোভিড-১৯ রোগীদের স্বাস্থ্যযত্ন ব্যবস্থা উন্নত করা হয়েছে; 
- সংক্রমণের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে; এবং 
- এই রোগ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দূর করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।