কুষ্টিয়ায় সহকারী অধ্যাপকের কবজি কাটার ঘটনায় ৭ আসামি গ্রেপ্তার
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, কুষ্টিয়া
প্রকাশিত: ০২:৫৯ পিএম, ৪ জুন ২০২২ শনিবার আপডেট: ০৩:০০ পিএম, ৪ জুন ২০২২ শনিবার
কুষ্টিয়ায় কুপিয়ে কলেজশিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেনের কবজি বিচ্ছিন্নের ঘটনার মামলায় সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার (৩ জুন) দিবাগত রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় গ্রেপ্তারকৃত আসামি পলাশের হেফাজত থেকে তিনটি গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শালঘর মধূয়া গ্রামের মোশারফ হোসেন মশা, নাজিমুদ্দিন, সামাদ, মোহাইমিন হোসেন, হালিম, পলাশ ও মুকুল।
শনিবার (৪ জুন) বেলা ১১টায় র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার ইলিয়াস খান এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
র্যাব জানায়, ওই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে পূর্ববিরোধের জেরে গত ৩১ মে দুপুর ২টার দিকে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালায় আসামিরা। এই ঘটনায় আহত শিক্ষকের ছেলে হাসিবুর বাদী হয়ে ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
গত ৩১ মে দুপুরে সদর উপজেলার বংশীতলা এলাকায় আলাউদ্দিন আহমেদ ডিগ্রি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তোফাজ্জল হোসেন বিশ্বাসের (৫২) ডান হাতের কবজি কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের ছেলে নাজমুছ সাকিব কুষ্টিয়া সদর থানায় ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এই মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য র্যাব কাজ করছে বলেও জানান র্যাব কর্মকর্তা ইলিয়াস খান।
আহত কলেজশিক্ষক তোফাজ্জেল বিশ্বাস কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রামের আলাউদ্দিন আহমেদ ডিগ্রি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তিনি কুমারখালী বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘর মধুয়া এলাকার জালাল বিশ্বাসের ছেলে।