অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

প্রেমের টানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসে গাজীপুরে বিয়ে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর

প্রকাশিত: ১২:৪৭ পিএম, ৪ জুন ২০২২ শনিবার   আপডেট: ০১:০২ পিএম, ৪ জুন ২০২২ শনিবার

প্রেমের টানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক তরুণ গাজীপুরে এসে বাংলাদেশি তরুণীকে বিয়ে করেছেন। বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিজুরি অঙ্গরাজ্যের ক্যানসাস সিটির নাগরিক রাইয়ান কফম্যান (২৭)। আর বউ গাজীপুর নগরীর বাসন থানার ভোগড়া মধ্যপাড়া এলাকার মোশারফ হোসেন মাস্টারের নাতনি সাইদা ইসলাম (২৬)।

সাইদা জানান, ২০২১ সালে এপ্রিলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ডেটিং অ্যাপসে) প্রথম পরিচয় রাইয়ান কফম্যানের সঙ্গে। তারা নিজেদের ফোন নম্বর ও ফেস বুক আইডি ও এড্রেস বিনিময় করেন। এরপর থেকে নিয়মিত যোগাযোগ হতো তাদের মধ্যে। এভাবে কথা বলতে বলতে দুইজন দুইজনকে ভালোবেসে ফেলেন।  ব্যক্তি সম্পর্ক পারিবারিক সম্পর্কে রূপ নেয়। শেষে দু'জনে সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার। 

কনের নানা মোশারফ হোসেন মাস্টার জানান, ঢাকার দনিয়া এলাকার বাসিন্দা সিকন্দার আলী ২০১৯ সালে মারা যান। বাবার মৃত্যুর পর মা ও তার ছোট বোনকে নিয়ে সাইদা ঢাকা থেকে চলে আসেন গাজীপুরের ভোগড়া মধ্যপাড়া এলাকায় নানা মোশারফ হোসেন মাস্টারের বাসায়। এখানেই এখন তারা বসবাস করছেন। বাবা মারা যাওয়ার এক বছর পর ২০২০ সালে মানবিকে স্নাতক পাস করেন সাইদা।
   
সুদূর আমেরিকা থেকে সুদর্শন ও ৬ফুট উচ্চতার এ যুবক গাজীপুর এসে স্থানীয় এক তরুণীকে বিয়ের খবরে উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় জমান।

৩ জুন শুক্রবার নব দম্পতি স্থানীয় চান্দনা চৌরাস্তা বাজারে কেনা-কাটা করতে যান। সাইদার স্বজন ও বাংলাদেশীদের বিষয়ে তার অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করতে গিয়ে রাইয়ান বলেন বাঙ্গালীরা খুবই অতিথিপরায়ণ।

"আমেরিকায় অচেনাদের সঙ্গে কেউ খুব একটা কথা বলে না। কিন্তু বাংলাদেশে আসার পর দেখছি আমার প্রতি সবাই খুবই আন্তরিক। আমার ক্ষুধা না লাগতেই লোকজন আমাকে খাওয়ানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন, আদর, আপ্যায়ন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন, যা আমেরিকায় বিরল।" 

বিয়ের পর সাইদাকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান রাইয়ান। রাইয়ান বলেন, "অনুসাঙ্গিক কাগজ-পত্র (কে-ওয়ান) ভিসা প্রসেসিং করতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। এসব সম্পন্ন হলেই সাইদাকে আমেরিকা নিয়ে যাবেন।" 

 রাইয়ান আমেরিকার নিজ এলাকায় একটি প্লাস্টিক পণ্য তৈরির কারখানায় অপারেটর পদে কাজ করেন। লেখাপড়া মাধ্যমিক স্কুল পর্যন্ত। তার মা-বাবা ছাড়াও এক বড় ভাই রয়েছেন।