মেজর মঞ্জুর হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ ২০ জুন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৪:৩৪ পিএম, ১৬ মে ২০২২ সোমবার
মেজর জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২০ জুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (১৬ মে) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহহার আকন্দ'র আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত অস্থায়ী ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলারা আলো চন্দনার আদালত।
তবে এদিন তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ না হওয়ায় পরবর্তী সাক্ষ্য জন্য নতুন করে এই তারিখ ধার্য করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ (এইচএম) এরশাদ, প্রয়াত মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফকে, মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শামস।।
মেজর জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ (এইচএম) এরশাদ ও মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফের মৃত্যু হওয়ায় মুল মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এদিন মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া আদালতে হাজিরা দেন। অপর আসামি লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শামসের পক্ষে উচ্চ আদালতে স্থগিতাদেশ রয়েছে।
১৯৮১ সালের ১ জুন মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জেনারেল মঞ্জুরের বড় ভাই ব্যারিস্টার আবুল মনসুর আহমেদ বাদী হয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন।
১৯৯৫ সালে ১৫ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহহার আকন্দ। এরআগে গত ১ মার্চ আসামি এমদাদুল হক, ১২ মার্চ মোহাম্মদ আবদুল লতিফ ও শামসুর রহমান এবং ১৮ জুন মোস্তফা কামালকে গ্রেফতার করা হয়। ওই বছরের ১১ জুন কারাগারে থাকা এরশাদকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৯৮১ সালের ১ জুন জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। মঞ্জুর হত্যা মামলায় মোট ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।