চট্টগ্রামে দুজনের করোনা শনাক্ত
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৬:৩৪ পিএম, ১১ মে ২০২২ বুধবার
চট্টগ্রামে করোনায় দুজন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এর আগের দু’দিন একজন করে শনাক্ত হয়। মঙ্গলবার দু’জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর আগে সর্বশেষ করোনা রোগি শনাক্ত হয়েছিল ১৭ দিন আগে গত ২১ এপ্রিল।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদন ও পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, মঙ্গলবার নগরীর নয়টি ল্যাব ও ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবরেটরিতে ২৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। পরীক্ষায় নতুন ২ জন শনাক্ত হয়। তারা উভয়েই শহরের বাসিন্দা। ১৫ উপজেলায় কোনো করোনা আক্রান্ত মিলেনি। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১ লাখ ২৬ হাজার ৬৪২ জনে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯২ হাজার ১০৩ জন ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৫৩৯ জন। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় শহর ও গ্রামে কেউ মারা যাননি। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৪ জন ও গ্রামের ৬২৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, জেলার দুই জন আক্রান্ত শনাক্ত হয় ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডি ও বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে। বিআইটিআইডি’তে ৯২ ও শেভরনে ৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে শহরের একজন করে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। এছাড়া, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ২১, বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ২৪, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৪, বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৫, এপিক হেলথ কেয়ারে ৩৩, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৬, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৩১ এবং এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এই আট ল্যাবে পরীক্ষিত ১২৮ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, ল্যাব এইড ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। নমুনা সংগ্রহের কোনো কেন্দ্রেই কারোনা এন্টিজেন টেস্ট হয়নি। চট্টগ্রামের একটি নমুনাও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়, বিআইটিআইডি ল্যাবে ১ দশমিক ০৮ ও শেভরনে ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং চমেকহা, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, আরটিআরএল, এপিক হেলথ কেয়ার, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ০ শতাংশ।