বাবার কোলে শিশুকে গুলি করে হত্যা: আদালতে শুটার রিমনের স্বীকারোক্তি
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নোয়াখালী
প্রকাশিত: ১২:৩৫ এএম, ২২ এপ্রিল ২০২২ শুক্রবার আপডেট: ১২:৩৬ এএম, ২২ এপ্রিল ২০২২ শুক্রবার
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের মালেকা বাপের দোকান এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে শিশু তাসফিয়া আক্তার জান্নাত (৪) হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি মো. রিমন ওরফে শুটার রিমন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আদালতে।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) রাতে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম তার জবানবন্দী রেকর্ড করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. সবজেল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ সকাল ১১টার দিকে রিমনসহ মোট পাঁচ আসামিকে আদালতে নেয়া হয়। তাদের মধ্যে সোহেল উদ্দিন, সুজন, নাইমুল ইসলাম এবং আকবর হোসেনের সাত দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়। পরে আদালত রিমান্ড আবেদন শুনানি শেষে দুপুরে প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া প্রধান আসামি রিমন স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হওয়ায় তার জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করা হয়।
তিনি বলেন, বিকেল ৩টায় প্রধান আসামি রিমনকে বিচারকের খাস কামরায় ডাকা হয়। সেখানে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে বিচারকের খাস কামরা থেকে বের করা হয় এবং তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত রেকর্ডকৃত জবানবন্দি তাদের হাতে এসে পৌঁছেনি। তবে আসামি রিমন বলেছেন গুলি করার বিষয়টি তিনি আদালতে স্বীকার করেছেন। এ ছাড়া আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে কিনা তা তিনি জানাতে পারেননি।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (১৩ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে বাড়ির পাশের মালেকার বাপের দোকান এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন তাসপিয়া ও তার বাবা। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করলে ঢাকায় নেয়ার পথে রাতে মারা যান তাসপিয়া। এ ঘটনার পর দিন বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) নিহতের খালু হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে অস্ত্রধারী রিমন, বাদশাসহ ১৭জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনকে আসামি করে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের। মামলায় এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।