অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

কালিহাতীতে শত্রুতার জেরে কৃষকের ইরি ধানে বিষ প্রয়োগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ০৩:১৬ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০২২ বুধবার  

ছবি: অপরাজেয় বাংলা

ছবি: অপরাজেয় বাংলা

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক কৃষকের  ইরি ক্ষেতে  বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে  ধান ক্ষেত ধ্বংশ করার অভিযোগ উঠেছে । দেখার জন্য গ্রামবাসী ভীর জমিয়ে নিন্দার ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে।  

গত রোববার (১৭ই এপ্রিল) ভুক্তভোগী কৃষক প্রতিকার চেয়ে  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকট অভিযোগ দায়ের করেন। 

অভিযোগের বিবরণী ও স্থানীয়সূত্রে জানাযায়, টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার দক্ষিণ চামুরিয়া গ্রামের জিহাদি প্রামানিকদের ছেলে কৃষক আবুল কালাম আজাদের বানিয়াফৈর মৌজায় ২৭শতাংশ জমি চাষ করে কোন রকম জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। চকে সকল ধান ক্ষেত ঠিকঠাক থাকলেও কৃষক আবুল কালাম আজাদ ১৫ এপ্রিল সকালে চকে  ইরিধান ক্ষেতে গেলে দেখে তার ক্ষেতের ধান হঠাৎ করে মরেগেছে। 

ভুক্তভোগী আবুল কালাম আজাদ জানান,  আমাদের গ্রামে আব্দুল মালেক ও নূরুল ইসলাম নেতৃত্বে দুইবার আমার ক্ষেত থেকে জোর করে ধান ও ঘম কেটে নিয়ে যায়। এর আগে আমাদের পুকুরে বিষ মেরেছিলো। এবার রাতে বিষ মেরে আমার ধানক্ষেতে সর্বনাশ করেছে। স্থানীয়রা জানান, গ্রামের অনেক লোককে মারপিট করেছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলতে গেলে ভয়ভীতি সহ নানা প্রকার হুমকি প্রদান করে। তাদের ভয়ে আমরা প্রতিবাদ করতে সাহস পাইনা। 

এ ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে একে একে গ্রামবাসী প্রতিবাদ করতে থাকে। বেড়িয়ে আসে মালেক ও নূরুল বাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এমন মানুষ গুলো প্রতিবাদ করতে থাকেন ভুক্তভোগী  দশ /বারটি পরিবার। তারা হলেন,একই গ্রামের আনোয়ার (৩৫), তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টো( ৪০) মৃত তোতা প্রামানিক, আবুল কালাম আজাদ (৫৫), সাজেদা( ৪০), সুফিয়া বেগম( ৬৫), আফাজ উদ্দিন( ৬০) রেখা বেগম (৩৫) রূপবান বেগম (৬০) কবুরী আক্তার( ১৮) জাহাঙ্গীর আলম (৪৬)।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানান,  মালেক ও নূরুল বাহিনীর দাপটে কেউ মুখ খুলতে পারে না। প্রায় এই গ্রামের প্রায় ২০/ ২৫ জনকে মারপিট করেছেন। কেউ পংগু হয়েছেন কেউ মারা গেছেন। আবার কেউ গ্রাম ছাড়া হয়ে আছেন। 

ভুক্তভোগী আনোয়ার ও তোফাজ্জল জানান, কমপক্ষে দশ বার পরিবার বার বার মারলেও কোন বিচার পাইনি। ওদের বিচার কেউ করতে পারবে না এক মাত্র আল্লাহ ছাড়া।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমি ওই ইউনিয়নের উপসহকারী বেলাল সাহেবকে পাঠিয়ে ধানগাছ কেটে এনেছি। পরিক্ষা করলে বুঝা যাবে।
 
এবিষয়ে কালিহাতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, অভিযোগ পেয়েছি এবং গুরুত্ব সহকারে দেখবো।