কুমিল্লায় পর্নোগ্রাফি মামলায় স্কুল শিক্ষক কারাগারে
রুবেল মজুমদার, কুমিল্লা
প্রকাশিত: ০১:২৮ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০২২ সোমবার আপডেট: ০১:৩১ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০২২ সোমবার
কুমিল্লায় পর্নোগ্রাফি মামলায় স্কুল শিক্ষক কারাগারে। ছবি: অপরাজেয় বাংলা
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কলেজ শিক্ষার্থীর আপত্তিকর ছবি ভিডিও ভাইরাল ঘটনায় কুমিল্লার নগরীর কুমিল্লা হাই স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদেরকে (৬০) গ্রেফতার করছে কোতায়ালী মডেল থানা পুলিশ।
রোববার (১৭ এপ্রিল ) দিবাগত রাতে নারী শিশু নিযার্তন ও পর্নোগ্রাফি মামলায় জেলা লালমাই উপজেলার রসলপুর এলাকায় থেকে গ্রেফতার করেন পুলিশ,একইদিন বিকালে আদালতে প্রেরণ করলে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলার ২ নাম্বার আসামি আব্দুল কাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার প্রধান আসামি জেলার লালমাই উপজেলার বাকই(উত্তর) ইউনিয়নের রসলপুর গ্রামের আব্দুল কাদের ছেলে মোঃ শাহনেওয়াজ বাহার (৪০। তার বিরুদ্ধে অর্থ জালিয়াতি ও প্রতারানার একাধিক মামলা আদালাতে চলমান রয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,মামলার বিবাদী বাহার কুমিল্লা হাই স্কুলের খন্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন,সেই সুবাদে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর তার কাছে প্রাইভেট পড়তেন।এসময় বাহারের সাথে ফাহমিদা(ছদ্মনাম)আক্তার (১৬) প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। তাদের মাঝে ভাল সর্ম্পক সৃষ্টি হাওয়ার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন দুইজন। পরে ভুক্তভোগী নারী অগোচরে তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন বাহার । এসব ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে বিবাহ করেন।
কয়েকদিন পর বিবাদী স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতে তালাক প্রদান করে কোনো প্রকার সর্ম্পক না রাখার অঙ্গীকার প্রদান করেন। শাহনেওয়াজ ও তার পিতা মোঃ আব্দুল কাদের পরস্পর যোগসাজশে ভূক্তভোগী নারী ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখান।
গত বছর ৩ অক্টোবরে বাহার ভুক্তভোগী নারীকে মোবাইলে কথা আছে বলে তার বাসায় এসে শোয়ার রুমে প্রবেশ করে গোপনীয় ছবি, ভিডিও ধারণ করে জোর পূর্বক র্ধষন করে,বর্তমানে এ নারী ৬ মাসের গর্ভবতী।পরে এ নারী বাদী হয়ে বাহার বিরুদ্ধে থানায় হুমকি সংক্রান্তে একটি সাধারন ডায়েরী করেন।
এ বিষয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতায়ালী মডেল থানার এসআই মহিউদ্দিন বলেন,মামলার ২ নং নাম্বার আসামি বাহার পিতা কাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া প্রধান অভিযুক্ত মো:বাহার কে আমরা গ্রেফতারের চেষ্টা চলাম রয়েছে।তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।মূলত সেই তার কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থীদের ঘুমের ঔষধ খাইয়ে অজ্ঞান করে শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করেন বলে আমরা জানতে পারি ।