চট্টগ্রামে করোনাক্রান্ত ২ জন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ১২:৪২ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২২ শনিবার
চট্টগ্রাম একটানা চারদিন করোনাশূন্য থাকার পর গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ১ দশমিক ২১ শতাংশ। চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর সাত ল্যাবরেটরিতে গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের ১৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন পজিটিভ ২ জনই শহরের।
ফলে জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৬৩৬ জন হয়েছে। এর মধ্যে শহরের ৯২ হাজার ৯৮ জন। ১৫ উপজেলার কোথাও নতুন কোনো সংক্রমিত না থাকায় গ্রামে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৫৩৮ জনই রয়েছে। গতকালও করোনায় শহর ও গ্রামে কেউ মারা যায়নি। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৪ ও গ্রামের ৬২৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও বেসরকারি মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে গতকাল একজন করে আক্রান্ত পাওয়া যায়। দুই ল্যাবরেটরিতে যথাক্রমে ১২ ও ২৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ ছাড়া, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৩৬, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ৩৩, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৬, মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালে ১৬, এপিক হেলথ কেয়ারে ৩০ ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ছয় ল্যাবরেটরিতে ১৩০ নমুনার সরগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল, বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, ল্যাব এইড, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও এভারকেয়ার হসপিটালে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়নি। শহর ও গ্রামে নমুনা সংগ্রহের কোনো বুথে একজনেরও এন্টিজেন টেস্ট হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, চমেকহা’য় ৮ দশমিক ৩৩ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং বিআইটিআইডি, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে ০ শতাংশ।