অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

আবরার অপমৃত্যু মামলায় ৯ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১২:২৭ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার   আপডেট: ০৩:২১ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার

ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ‘কিশোর আলো’র অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নাইমুল আবরার রাহাতের অপমৃত্যুর ঘটনায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এরই মধ্যে দিয়ে মামলাটির আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আসামিদের উপস্থিতে এ আদেশ দেন। একই সাথে আগামী ১৪ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য তারিখ নির্ধারণ করেন। মামলাটিতে লেখক ও প্রথম আলোর সহযোগি সম্পাদক আনিসুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাকে অব্যহতি দেওয়া হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গীতিকার ও প্রথম আলোর ইভেন্টের দায়িত্বে থাকা কবির বকুল, শুভাশিষ প্রামানিক শুভ, মহিতুল আলম পাভেল, শাহপরান তুষার, জসিম উদ্দিন অপু, মোশারফ হোসেন, সুজন ও কামরুল হায়দার। 

এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল আলীম পুলিশ পরিদর্শক আসামিদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ধারা ৩০৪ (এ) অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।

২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর সিএমএম আদালতে আবরারের বাবা মামলাটির আবেদন করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে কিশোরদের মাসিক সাময়িকী কিশোর আলোর বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে নাইমুল আবরার যান। অনুষ্ঠান চলাকালে সাড়ে তিনটার দিকে আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অনুষ্ঠানের জন্য যে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করা হয় তা অরক্ষিত ছিল। অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার যে নিরাপত্তা ও সাবধানতার  প্রয়োজন ছিল তা নেওয়া হয়নি।

ঘটনাস্থলের খুব কাছে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল অবস্থিত হলেও আবরারকে মহাখালী ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নাইমুল আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার পর বিকেল ৪ টা ৫১ মিনিটে চিকৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। কর্তৃপক্ষ আবরারের মৃত্যুর বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়নি। আবরারের পরিবার এক সহপাঠীর মাধ্যমে তারা তার মৃত্যুর খবর পান। যা একটি পরিকল্পিত, গাফিলতি এবং অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।