সোশ্যাল ফোবিয়া মানসিক স্বাস্থ্যের এক জটিল পরিস্থিতি
প্রকাশিত: ০৮:০১ পিএম, ৪ আগস্ট ২০২০ মঙ্গলবার আপডেট: ০৭:০১ পিএম, ৯ আগস্ট ২০২০ রোববার
সোশ্যাল অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার বা সোশ্যাল ফোবিয়া মানসিক স্বাস্থ্যের এক ধরনের জটিল পরিস্থিতি। যখন কোনো ব্যক্তি তার আশেপাশের পরিস্থিতি নিয়ে সবসময় ভয় ও উদ্বিগ্নতায় থাকেন তখন তিনি এই সমস্যায় ভুগছেন বলে ধারণা করা হয়।
সোশ্যাল ফোবিয়ার আরও লক্ষণ হচ্ছে, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, অন্যরা কী ভাবছে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করা। নতুন পরিচয়, কারও সাথে আলাপন, চাকরির ইন্টারভিউ বা যেকোনো পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত ভাবনা ভাবা, নেতিবাচক চিন্তা ও পরাজয়-ভীতি মনে জায়গা করে নেওয়া।
সামাজিক-ভীতিতে ভোগা এ ধরনের মানুষেরা খেলাধুলা, বক্তৃতা ও নাচ-গান পরিবেশনের ক্ষেত্রে অস্থিরতায় ভুগেন। তাদের হার্টবিট বেড়ে যায়, কণ্ঠস্বর ক্ষীণ হয়, কপালে ঘাম জমে, কোনো কিছুই স্পষ্টভাবে মনে করতে পারেন না।
সঠিক সময়ে এ ধরনের অ্যাংজাইটির ব্যাপারে সচেতন না হলে দীর্ঘদিন ধরে তা বিরাজ করতে পারে। অনেকেই বয়সের সাথে সাথে সোশ্যাল অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হলেও কারও কারও পক্ষে তা কঠিন হয়ে যায়। এক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
একইসঙ্গে, সামাজিক বিষয়ে দক্ষতা বাড়ানো, মেডিটেশনও বেশ কার্যকর। বন্ধু-বান্ধব, পরিবার এবং কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে এ নিয়ে খোলামেলা আলোচনাও ভয় দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
তথ্যসূত্র: ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ।