বিজ্ঞানের সঙ্গে ধর্মের সংঘর্ষের জায়গা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৭:২৯ পিএম, ৯ এপ্রিল ২০২২ শনিবার
মুন্সীগঞ্জের স্কুল শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলের সঙ্গে যা হয়েছে তা ‘দুঃখজনক’ উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিজ্ঞানের সঙ্গে ধর্মের সংঘর্ষের জায়গা নেই।
শনিবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অজুহাতে একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যা করা হয়েছে তা দুঃখজনক। আমরা আমাদের পদ্ধতিতে বিষয়টি দেখছি।”
মন্ত্রী বলেন, আমাদের এগিয়ে যাবার জন্য ধর্মীয় সম্প্রীতি ধরে রাখা দরকার একইসঙ্গে আমাদের শিক্ষকদের নিরাপত্তা দরকার। আমাদের বিজ্ঞান প্রযুক্তি নিয়েও এগিয়ে যেতে হবে। সেখানে শিক্ষকের মর্যাদার ও নিরাপত্তার দিকও আমার দেখতে হবে। শিক্ষায় এগিয়ে যেতে হলে শিক্ষকের সামাজিক এবং আর্থিক নিরাপত্তাও দিতে হবে।
কাউকে হয়রানি করার বিষয়ে সতর্ক করে দীপু মনি বলেন, কোনোভাবে যেন কেউ হয়রানির শিকার না হয়। যে কোনো ধরণের অভিযোগ আসতেই পারে। অভিযোগ আসলে তদন্ত হবে। কিন্তু কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হয়। ধর্ম আমার ব্যক্তিগত বিষয়। ধর্মীয় বোধ আমি আমার মতো করে ধর্মকে পালন করব। যে যার ধর্ম পালন করবে তার বিশ্বাস নিয়ে। সেটাই তার অধিকার।
তিনি বলেন, এর মধ্যে অনেকগুলো বিষয় ঘটেছে। আমরা পত্রপত্রিকায় দেখছি। সেখানে নানান ধরনের সমস্যা-সংকট, একজনের সঙ্গে আরেকজনের সমস্যা, সেগুলো ব্যক্তি পর্যায়ের, সেগুলো দেখছি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একজন শিক্ষক তিনি বিজ্ঞান পড়াবেন। আমরা তো বিজ্ঞান বিবর্জিত হতে পারি না। তবে আমাদের সবার জীবনে ধর্ম একটি বড় ভূমিকা পালন করে। ধর্মটা যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। ধর্ম শিক্ষার ক্লাস হলে সেখানে ধর্ম শেখাবে। বিজ্ঞানের সঙ্গে ধর্মের সংঘর্ষের তো জায়গা নেই আসলে। যদি কোথাও সংঘর্ষ হয় তাহলে সেখানে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারি না। কিন্তু একজন শিক্ষক হয়রানি মধ্যে পড়া উচিত নয়।
দীপু মনি বলেন, তিনি কী বলেছেন, কীভাবে বলেছেন এ বিষয়গুলো তদন্ত হতে পারে। কিন্তু পুরো ঘটনাটা আমার কাছে মনে হয়েছে খুব দুঃখজনক।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, আমার কাছে এটা মনে হচ্ছে যে আমাদের আশপাশের অনেক দেশে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বাংলাদেশ শান্তিতে আছে এই শান্তিটা কারও কারও হয়তো পছন্দ হচ্ছে না।
সবাইকে ধৈর্য্য ধরার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, একটু বোধহয় ধৈর্য্য ধরার প্রয়োজন রয়েছে। যে কোনো সময় যে কোনো ছুতায় আমাদের শান্তিশৃংখলা আমাদের সম্প্রীতি নষ্ট করা ও সেগুলো উসকে দেওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়।