মেডিকেলে প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০২:২৪ পিএম, ১ এপ্রিল ২০২২ শুক্রবার আপডেট: ০৪:৩৫ পিএম, ১ এপ্রিল ২০২২ শুক্রবার
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শুক্রবার (১ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, যে গাড়িতে করে কেন্দ্রগুলোতে প্রশ্ন এসেছে, সে গাড়িগুলোকে আমরা ডিজিটালি ট্র্যাক করেছি। ডিরেক্টর জেনারেলের (ডিজি) অফিসে বসে আমরা দেখতে পারি কোথায় গাড়ি যাচ্ছে, থামছে কিংবা রওনা দিচ্ছে। যে বাক্সে করে প্রশ্ন নেওয়া হয়, সে বক্স খুললেও বলা যায়, এই বক্স এখন খোলা হচ্ছে বা বন্ধ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, নিরাপত্তার জন্য আমরা সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করেছি। এখানে পুলিশ, র্যাব দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপও মনিটরিং করছি। ইতোমধ্যে আমরা দুজনকে গ্রেপ্তারও করেছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি কোনো অঘটন ঘটবে না। আমরা সতর্ক আছি।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমি দুই-একটা হলে গিয়েছি। পরীক্ষা সুন্দরভাবে হয়েছে। সারাদেশে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আমরা পাইনি। ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বললাম, তারা জানিয়েছে প্রশ্ন স্ট্যান্ডার্ড হয়েছে। আশা করি সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবেই পরীক্ষা শেষ হবে।
পরিদর্শনে অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মেডিকেল শাখা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবীব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সামাদ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক সচিব মো. আলী নূর, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়া, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জেনারেল নাজমুল হক উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মোট আবেদনকারীর সংখ্যা এক লাখ ৪৩ হাজার ৭৩০। দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে মোট আসন সংখ্যা চার হাজার ৩৫০টি। এ ছাড়াও ৭২টি বেসরকারি মেডিকেল মিলিয়ে সর্বমোট আসন ১০ হাজার ৮২৯টি। পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে লড়ছেন ৩৩ জনেরও বেশি পরীক্ষার্থী।