লিবিয়ায় নিখোঁজ বাংলাদেশি সাংবাদিক জাহিদুরের সন্ধান মিলেছে
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৮:৫৯ পিএম, ২৮ মার্চ ২০২২ সোমবার আপডেট: ০৯:০২ পিএম, ২৮ মার্চ ২০২২ সোমবার
লিবিয়া ভ্রমণে গিয়ে পাঁচ দিন নিখোঁজ থাকার পর সন্ধান মিলেছে এনটিভির স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট জাহিদুর রহমানের। একই সঙ্গে সন্ধান মিলেছে সঙ্গে থাকা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম টিপু ও গাড়িচালক লিবিয়ার নাগরিক মোহাম্মদ খালেদেরও।
সোমবার (২৮ মার্চ) রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
তিনি জানিয়েছেন, জাহিদুর রহমান লিবিয়ার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে রয়েছেন।
এর আগে জাহিদের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়,লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে তাদের অপহরণ করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন। তবে, লিবিয়ায় থাকা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের পরিবারের ধারণা, ত্রিপোলিতে যেহেতু মিলিশিয়াদের নিয়ন্ত্রণ কম, কাজেই ক্ষমতাসীন সরকারের কোনো বাহিনী তাদের ধরে নিয়ে যেতে পারে।
জাহিদুরের স্ত্রী তাসলিমা রহমান সাংবাদিকদের বলেন, গত ২১ মার্চ লিবিয়ায় যান জাহিদুর। ২৩ মার্চ দুপুরে আমাদের সঙ্গে তার সর্বশেষ কথা হয়। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আমরা প্রথমে বিষয়টি বুঝতে পারিনি। ২৪ ঘণ্টা পর অনেকেই আমাদের জানাতে থাকেন তার সঙ্গে অনলাইনে বা ফোনে যোগাযোগ করতে পারছেন না। তখনই আমার উদ্বিগ্ন হই। এরপর আমরা প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানকে বিষয়টি জানাই।
তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ করে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে খোঁজ জানাতে বলেন। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ওই দূতাবাসে যোগাযোগ করা হয়। সেখানে থেকে জানানো হয় জাহিদুর রহমানকে কে বা কারা অপহরণ করেছে। তিনি যে হোটেলে ছিলেন সেই কোরিনথিয়া হোটেলে ফেরেননি।
তিনি আরও জানান, গত ৩ মার্চ তার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে পারিবারিক ভিসায় লন্ডনে যান জাহিদ। সেখান থেকে আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ঘুরে ২১ মার্চ লিবিয়ায় পৌঁছান। পরদিন ২২ মার্চ তিনি নিজের ফেসবুকে ত্রিপোলি থেকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি জানান, গৃহযুদ্ধকবলিত দেশটিতে প্রবেশ ছিল রীতিমতো বেশ চ্যালেঞ্জের। লন্ডনে যাওয়ার আগেই বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ঢাকা থেকে ভিসা সংগ্রহ করেন। অবশ্য লন্ডন থেকে জাহিদুর রহমানের একাধিক রিপোর্ট এনটিভিতে প্রচার হয়েছে।
Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
এ বিষয়ে লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামান গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম সরকারের কোনো সংস্থা তাকে ধরে নিয়ে যেতে পারে। এখন মনে হচ্ছে তাকে কোন মিলিশিয়া গোষ্ঠীও ধরে নিয়ে যেতে পারে। আমরা এখনো ঠিক নিশ্চিত নই। তবে, ২৩ মার্চ কোন জায়গা থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেটি আমরা এখন মোটামুটি জানতে পেরেছি। ত্রিপোলিতে সাংবাদিক জাহিদুর রহমান নানা জায়গায় ছবি তুলছিলেন। এখানে ছবি তোলা নিষেধ। এটি একটি বড় কারণ। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।’