ঘুঘুজান সেতুটি নির্মাণ হলে দুঃখ ঘুচবে ৫০০ পরিবারের
ডিসট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, লালমনিরহাট
প্রকাশিত: ০৬:৪৭ পিএম, ২৭ মার্চ ২০২২ রোববার
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নে ঘুঘুজান গ্রামের প্রায় ৫০০ কৃষি পরিবারের চলাচলের একমাত্র উপায় ছিল সেতুটি। দু বছর আগে সেটি পুরোপুরি ধসে পড়ে। পরে গ্রামবাসীরা নিজেরা চাঁদা তুলে ভেঙে পড়া সেতুর ওপরেই বাঁশের সাঁকো বসিয়ে কোনোভাবে চলাচলের উপায় করে নেন। কিন্তু দুর্বল সাঁকোর ওপর দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচলের উপায় না থাকায় তাদের দুর্ভোগ ঘোচেনি।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ঘুঘুজান গ্রামের বাসিন্দাদের ভাষ্য, এই গ্রামে প্রায় ৫০০ কৃষক পরিবারের বাস। সেতুটি দেখভালের দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের। সরকারি এই সংস্থাসহ নানাজন বিভিন্ন সময়ে সেতুটি মেরামতের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
গ্রামবাসীরা বলছেন, এই ভাঙা সেতু দিয়ে জমি থেকে ফসল বাড়িতে আনা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। একই অবস্থা হয় উৎপাদিত পণ্য হাটে-বাজারে নেওয়ার ক্ষেত্রেও।
ঘুঘুজান গ্রামের কৃষক গোপাল রায় (৬০) বলেন, 'জনপ্রতিনিধিরা আমাদের দুর্দশার কথা জানেন। তারা নানা সময়ে সেতুটি মেরামতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।'
আরেক কৃষক নিজাম উদ্দিন হতাশা প্রকাশ করে বলেন, 'কৃষক বলে আমাদের পাশে কেউ দাঁড়াতে চায় না। সেতুর ওপর বসানো বাঁশের সাঁকোটিও আমাদের নিজেদের টাকায় তৈরি।'
ভাদাই ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের সদস্য রওশন আরা বেগম জানান, তিনি নিজেও এই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করেন। ঘুঘুজান সেতুটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীন হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে যে, শীঘ্রই এখানে নতুন একটি সেতু নির্মাণ করা হবে।
এ বিষয়ে কথা হয় লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল কাদেরের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'ঘুঘুজান খাল খনন ও খালের উপর একটি সেতু নির্মাণের প্রস্তুতি আছে। অর্থ বরাদ্দের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে যথানিয়মে খাল খনন ও সেতু নির্মানের কাজ শুরু করা হবে।'
তবে ঠিক কবে নাগাদ এই কাজ শুরু হতে পারে- জানতে চাইলে এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি তিনি।