অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ইতিহাস গড়ে সিরিজ জিততে বাংলাদেশের চাই ১৫৫ রান

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:২১ পিএম, ২৩ মার্চ ২০২২ বুধবার   আপডেট: ১০:৪১ পিএম, ২৩ মার্চ ২০২২ বুধবার

সেঞ্চুরিয়নে অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশি পেসার তাসকিন আহমেদের বোলিং তোপে মাত্র ১৫৪ রানেই থেমেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ফলে প্রোটিয়াদের মাটিতে প্রথম সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়তে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ১৫৫ রান।

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে সেঞ্চুরিয়ানে ৩৮ রানে জিতে ম্যাচ জেতার ইতিহাস নতুন করে লেখে টাইগাররা। এবার সিরিজ জয়ের পথে রয়েছে রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা। প্রথমবারের মতো প্রোটিয়ানদের মাটিতে তাদেরকে সিরিজ হারানোর ইতিহাস লেখার জন্য রান তাড়ায় সাবধানী হতে হবে তামিমদের।

সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাত্র ১৫৪ রানে আটকে দিয়েছে টাইগারবাহিনী। তাসকিন আহমেদের অসাধারণ বোলিংয়ের পাশাপাশি বাকীদের উজ্জীবিত পারফরম্যান্সে স্বাগতিকরা অল্প রানেই আটকে যায়।

সেঞ্চুরিয়ানে এদিন টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় প্রোটিয়ান অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে প্রোটিয়ান দুই ওপেনার জানেমান মালান ও কুইন্টন ডি কক উড়ন্ত সূচনা এনে দেয় দলকে। ৬ ওভারে রান তোলে ফেলে ৪০।

এরপরে মেহেদী মিরাজ ডি কককে ফেরালে রানের গতি কিছুটা কমে স্বাগতিকদের। ১২ রান করে ডি কক ফিরলেও একপ্রান্তে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে মালান।

অপরপ্রান্তে তিনে নামা কাইল ভেরেইনকে তাসকিন ফেরালে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। ওপেনার মালান ও চারে নামা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা সাবধানী ক্রিকেট খেলতে থাকেন। বাংলাদেশী বোলাররাও চাপে ফেলে এই দুই ব্যাটারকে।

বোলারদের চাপে শেষ পর্যন্ত ধরা দেন মালান ও বাভুমা। ওপেনার মালানকে ব্যক্তিগত ৩৯ রানে মুশফিকের ক্যাচে পরিণত করেন তাসকিন। পরের ওভারে সাকিবের বলে এলবিডাব্লিউয়ের শিকার হয়ে ফেরেন ২ রান করা বাভুমা।

এর দুই ওভার পরে ব্যাট হাতে ইনফর্ম ডুসেনকে ফেরান দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে আসা শরিফুল। ওভার দ্য উইকেট থেকে এই বাঁহাতি পেসারের লাফিয়ে ওঠা বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৪ রান করা ডুসেন।

এরপর ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ২৪ রানের জুটি গড়েন প্রিটোরিয়াস ও মিলার। যার মধ্যে ২০ রানই এসেছে প্রিটোরিয়াসের ব্যাট থেকে। ১টি করে চার ও ছয় হাঁকানো এই ব্যাটারকে মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছেন তাসকিন।

এরপর এক ওভারে মিলার ও রাবাদাকে ফিরিয়ে নিজের ফাইফার পূর্ণ করেন এই পেসার। মিলার ফেরেন ১৬ রান করে। রাবাদাকে ৪ রানে ফিরিয়ে ৮ বছর পর আবার ফাইফারের স্বাদ পায় তাসকিন। তাসকিন ৮ ওভারেই ৫ উইকেট শিকার করেন।

এরপরে সাকিব লুঙ্গি এনগিডিকে শূন্য রানেই ফেরান। শেষদিকে কেশভ মহারাজ ২৮ রান করলে দেড়শো পেরোয় দক্ষিণ আফ্রিকা।

তাসকিন ৯ ওভারে ৩৫ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন। সাকিব ২৪ রানে নেন ২টি উইকেট। এছাড়াও মিরাজ ২৭ রানে, শরিফুল ৩৭ রানে ১টি করে উইকেট শিকার করেন।