দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম সিরিজ জিততে চায় টাইগাররা
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:০৬ পিএম, ২২ মার্চ ২০২২ মঙ্গলবার
প্রথম ম্যাচের পারফরমেন্সের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে আগামীকাল তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে প্রোটিয়াদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩৮ রানে জয় পায় বাংলাদেশ। যা ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ক্রিকেটের যেকোন ভার্সনে টাইগার দলের প্রথম জয়। সেই সাথে প্রোটিয়াদের বিরদ্ধে ১৯ ম্যাচ হারের বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসে তারা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে টাইগারদের সাত উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ১-১ সমতায় ফেরে দক্ষিণ আফ্রিকা।
আগামীকাল সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডে। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায়।
প্রাথমিকভাবে তৃতীয় ওয়ানডে খেলা নিয়ে সংশয় ছিল দলের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। কারণ তার তিন সন্তানের মধ্যে দুইজনসহ পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতা নিয়ে দেশে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাই সাকিবের দেশে ফেরার কথা ছিল, কিন্তু সেখানেই থেকে যাওয়া ও তৃতীয় ওয়ানডে খেলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বাংলাদেশ দলের সদস্যরা সিরিজ জয়ের জন্য কতটা অনুপ্রাণিত এবং মরিয়া, সাকিবের এমন সিদ্ধান্ত তার উদাহরণ।
সেঞ্চুরিয়নে প্রথম ম্যাচের ঐতিহাসিক জয়ে বড় ভূমিকা ছিলো সাকিবের। ৬৪ বলে ৭৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি।
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের জন্য দর্শকরা আবার সেঞ্চুরিয়নের ফিরে আসবে এবং এটি হবে তাদের জন্য আরেকবার উৎসাহি করার উপায়। সেঞ্চুরিয়নের উইকেট ছিল বাংলাদেশ দলের জন্য সহায়ক। কিন্তু ওয়ান্ডারার্সের দ্বিতীয় ওয়ানডের উইকেট মোটেও সুবিধাজনক ছিলো না। হঠাৎ-হঠাৎ বাউন্স করেছে বলে জানান, বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
স্পষ্টভাবে পিচ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন তামিম। একই সাথে স্বীকার করেছেন, নিজেদের বিপদ ডেকে এনেছেন তারা নিজেরাই। বল হাতে ভয়ংকর হয়ে উঠেছিলেন ৩৯ রানে ৫ উইকেট নেয়া কাগিসো রাবাদা। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মত ইনিংসে পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নেন রাবাদা।
তবে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটি সেঞ্চুরিয়নে হওয়ার কারণে তামিম সেরা কিছুরই আশা করছেন। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজকে স্মরণীয় করে রাখার আশা ছাড়তে রাজি নন তামিম।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হারের পরও বাংলাদেশ দলে কোন পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। অপরিবর্তিত থাকলে একই স্কোয়াড নিয়েই টানা ছয়টি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা।
ওয়ানডে ফরম্যাটে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। এরমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছে ১৮টিতে। বাংলাদেশ জিতেছে পাঁচটিতে। একটি ম্যাচ বাতিল হয়।