যে কারণে ব্যালন ডি’অরের ভোটাধিকার হারিয়েছে বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৫৪ পিএম, ১২ মার্চ ২০২২ শনিবার
বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার হিসেবে ধরা হয় ব্যালন ডি'অরকে। এই পুরুষ্কার প্রদানের নিয়মে আনা হয়েছে নতুন চারটি পরিবর্তন যার অধীনে এই প্রতিযোগীতায় ভোট দেওয়ার অধিকার হারিয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার (১১ মার্চ) রাতে এক প্রতিবেদনে এমনটি ঘোষণা দিয়েছে ফরাসি প্রচারমাধ্যম এল ইকুইপ।
চলুন দেখে নেই নিয়মে যে চারটি পরিবর্তন আনা হয়েছে-
মৌসুম ভিত্তিক পারফরম্যান্স
প্রতি বছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়ে থাকে ব্যালন ডি’অর। তাতে করে একটা বিড়ম্বনা দেখা দেয়। কারণ খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স হয়ে যায় দুই মৌসুম (অর্ধেক-অর্ধেক)। এই জটিলতা এড়াতে এ বছর থেকে পারফরম্যান্সের হিসাবটা হবে মৌসুমভিত্তিক। অর্থাৎ আগস্ট থেকে জুলাই (এক মৌসুম) হিসাব করা হবে।
বর্ধিত নির্বাচক প্যানেল
ফ্রান্স ফুটবল এবং এল ইকুইপের সাংবাদিক ও কর্তারা ব্যালন ডি’অরের জন্য ৩০ সদস্যের প্রাথমিক তালিকা তৈরি করে থাকেন। ইয়াসিন ট্রফি এবং কোপা ট্রফির জন্য ২০ জন করে মনোনয়ন দেওয়া হয়। কিন্তু এখন থেকে সংখ্যাটা বাড়তে পারে। বিশ্লেষক হিসেবে আরো কয়েকজন অংশ নেবেন সেরা ফুটবলার নির্বাচনে। এই যেমন ব্যালন ডি’অরের শুভেচ্ছাদূত দিদিয়ের দ্রগবা নির্বাচক প্যানেলে যুক্ত হচ্ছেন। ভোটারদের একটা অংশ যুক্ত হবেন। এ ছাড়া বাইরের কিছু সাংবাদিক আসছেন নির্বাচক কমিটিতে।
ভোট সংখ্যা হ্রাস
গত বছরও ১৭০টি দেশ থেকে ভোট দেওয়া হয়েছে ব্যালন ডি’অর নির্ধারণে। কিন্তু এখন থেকে পাল্টে যাচ্ছে নিয়মটা। ভোট দিতে পারবেন ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা ১০০টি দেশের প্রতিনিধিরা। আর মেয়েদের ফুটবলে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ৫০ দেশ পাবে ভোটাধিকারের সুযোগ। অর্থাৎ বাংলাদেশের মতো র্যাঙ্কিংয়ে তলানিতে থাকা দেশগুলো হারাচ্ছে ভোটাধিকার।
মানদণ্ড
ব্যালন ডি’অর একটি স্বতন্ত্র পুরস্কার। এটাকে অগ্রাধিকার দিয়ে ভোটাররা খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সকে মূল্যায়ন করবে। দলের অবস্থা যেমনই থাকুক না কেন। তবে সামষ্টিক সাফল্য থাকা ভালো। খেলোয়াড়দের সামর্থ্য এবং মাঠে তাদের সততাও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হতে পারে শ্রেষ্ঠত্ব বিচারে।