রবীন্দ্রসদনে শ্রদ্ধা ভালোবাসায় সিক্ত সন্ধ্যা
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১৫ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বুধবার আপডেট: ০৩:১৮ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বুধবার
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের শেষ শ্রদ্ধা রবীন্দ্রসদনে
কলকাতার রবীন্দ্রসদন চত্বরে আধুনিক বাংলা গানের অন্যতম সেরা কণ্ঠশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাজ্যের সর্বস্তরের মানুষ ও ভক্তরা। এখানে সকাল থেকে তার মরদেহ রাখা হয়।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার কেওড়াতলা মহাশ্মশানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তত্ত্বাবধানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
গত ২৬ জানুয়ারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথমে কলকাতার পিজি হাসপাতালে ভর্তি হন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। তারপর সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে। গতকাল মঙ্গলবার সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন সন্ধ্যা। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারে বসে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবর পান। এরপর তিনি তার সফর কাটছাঁট করে আজই ফিরেছেন কলকাতায়। তিনিও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান।
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, ‘ভাবতেই পারিনি এভাবে তিনি চলে যাবেন। কী যে হয়ে গেল! একটা শতাব্দীর কেউ রইল না আজ! আমি আজ আমার অগ্রজাকে হারালাম।’
শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘আমি মর্মাহত। এই শিল্পীর প্রয়াণে আমাদের সংস্কৃতিজগৎ আরও শূন্য হলো। তার সুরেলা কণ্ঠস্বর আগামী প্রজন্মকে বিমোহিত করে রাখবে। শিল্পীর পরিবার–পরিজনের প্রতি রইল আমার সমবেদনা।’
কলকাতার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষেরাও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেছেন।
শাস্ত্রীয় সংগীত থেকে চলচ্চিত্রের গান, আধুনিক গানের অ্যালবাম-সব মিলিয়ে তার কাজের পরিধি অনেকটাই। ১২ বছর বয়স থেকে গান গাইছেন। সংগীতের পেছনে জীবনের ৭৫টি বছর ব্যয় করেছেন। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও তার জুটি বহু বছর ধরে বাঙালির মনজুড়ে আছে।
একসময় সুচিত্র সেনের কণ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ‘এ শুধু গানের দিন, এ লগন গান শোনাবার’, ‘মধুমালতী’, ‘হয়তো কিছুই নাহি পাব’, ‘তুমি নাহয়’, ‘আয় বৃষ্টি ঝেঁপে’, ‘যমুনা কিনারে’সহ অনেক কালজয়ী গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।
১৯৭১ সালে ‘জয়জয়ন্তী’ ও ‘নিশিপদ্ম’ ছবিতে গান গেয়ে শ্রেষ্ঠ গায়িকা হিসেবে ভারতের জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন সন্ধ্যা। এ ছাড়া ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার তাঁকে ‘বঙ্গবিভূষণ’ উপাধিতে সম্মানিত করে।