বাপ্পীর গানে একাত্ম থাকবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম: মোদির টুইট
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৪৫ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বুধবার আপডেট: ০১:৪৮ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বুধবার
বাপ্পির গানে একাত্ম থাকবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম: মোদির টুইট
ভারতের প্রখ্যাত গায়ক, সুরকার ও সংগীত পরিচালক বাপ্পী লাহিড়ীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার মধ্যরাতে মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন বাপ্পী লাহিড়ী। তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নরেন্দ্র মোদি বাপ্পী লাহিড়ীর সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে টুইটারে লিখেছেন, ‘সংগীত ছিল বাপ্পি লাহিড়ীর পুরোটাজুড়ে। গানের মাধ্যমে সুন্দরভাবে বিভিন্ন আবেগ প্রকাশ করতেন। প্রজন্মের পর প্রজন্ম তার গানের সঙ্গে একাত্ম বোধ করতে পারবে। তার প্রাণবন্ত চরিত্র কেউ কোনো দিন ভুলতে পারবে না। তার মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তার পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি।’
মুম্বাইয়ের ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালের পরিচালক দীপক নামজোশী ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেন, এক মাস হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন বাপ্পী লাহিড়ী। গত সোমবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বাড়িতে ফেরেন।
পরদিন মঙ্গলবার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে একজন চিকিৎসককে বাড়িতে ডেকে নেওয়া হয়। গতকাল মধ্যরাতের কিছু আগে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার (ওএসএ) কারণে মারা যান বাপ্পী লাহিড়ী।
গত বছরের এপ্রিলে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হন বাপ্পী লাহিড়ী। কয়েক দিনের মধ্যে অবশ্য সুস্থও হয়েছিলেন।
আশির দশকের শেষের দিকে ‘চলতে চলতে’, ‘ডিসকো ড্যান্সার’ও ‘শারাবি’র মতো বলিউডের একাধিক চলচ্চিত্রে গান করার মধ্য দিয়ে জনপ্রিয়তা পান বাপ্পি লাহিড়ী। এরপর অসংখ্য হিন্দি ও বাংলা সিনেমায় গান করেছেন তিনি। ২০২০ সালে ‘বাঘি-৩’ সিনেমার ‘ভাঙ্কাস’ ছিল বলিউডে তাঁর শেষ গান।
বাপ্পী লাহিড়ীকে সর্বশেষ পর্দায় দেখা যায় সালমান খানের সঙ্গে। নাতি স্বস্তিকের নতুন গান ‘বাচ্চা পার্টির’ প্রচার চালাতে সালমান খানের উপস্থাপনায় জনপ্রিয় হিন্দি রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস-১৫’-এর আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
বাপ্পী লাহিড়ীর জন্ম ১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায়। বাপ্পি লাহিড়ীর আরেক নাম অলকেশ।
ছোটবেলায় মঞ্চে তবলা বাজাতে শুরু করা অলকেশ লাহিড়ী একদিন হয়ে ওঠেন ‘ভারতের ডিস্কো কিং’। ছোট থেকেই সুরের জগতের মানুষ ছিলেন বাপ্পি। বাবা অপরেশ লাহিড়ী ছিলেন বাংলা সংগীতের অন্যতম জনপ্রিয় গায়ক।
মা বাঁশরী লাহিড়ী ছিলেন শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী। বাপ্পী লাহিড়ী শুধু একজন সংগীত পরিচালকই ছিলেন না, প্লেব্যাকও করেছেন সমানতালে। পিতামাতার কাছেই সংগীতে হাতেখড়ি। তিনি বাংলার গর্ব, বাঙালির গর্ব। ১৯ বছর বয়সে ‘দাদু’ (১৯৭২) নামক বাংলা চলচ্চিত্রে প্রথম কাজ করেন এই শিল্পী।