এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ

২০২১ সালের উচ্চ মাধ্যমিক বা এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এইচএসসির ফল ঘোষণার আয়োজন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করেন।

**যেভাবে এইচএসসির ফল জানা যাবে 

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ফল প্রকাশ আয়োজনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এ সময় ডা. দীপু মনি নয় বোর্ডের পরীক্ষার ফলাফল গ্রহণ করেন।

এরপর শিক্ষামন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পর শিক্ষার্থীরা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে ফলাফল জানতে পারবেন। এ ছাড়া মুঠোফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফলাফল জানা যাবে।

ফল জানবেন যেভাবে-
আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ও শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে ফলাফল জানা যাবে।

এ ছাড়া মুঠোফোনে খুদে বার্তার মাধ্যমেও ফলাফল জানা যাবে। মুঠোফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণ—HSC DHA 123456 2021 লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে ফলাফল।

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের জন্য HSC লিখে স্পেস দিয়ে MAD লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে। উদাহরণ—HSC MAD 123456 2021 লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে ফলাফল।

এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে TEC লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

সাধারণত প্রতি বছর এপ্রিল মাসে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হলেও করোনা মহামারির কারণে এই পাবলিক পরীক্ষা ২০২১ সালের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নেয়ার ঘোষণা দেয় সরকার। পরীক্ষা ২ ডিসেম্বর শুরু হয়ে শেষ হয় ৩০ ডিসেম্বর।

এবারের এইচএসসি পরীক্ষা অন্যান্য বছরের মতো হয়নি। পরীক্ষা হয় শুধু নৈর্বাচনিক বিষয়ে। আর আবশ্যিক বিষয়ে আগের পাবলিক পরীক্ষার সাবজেক্ট ম্যাপিং করে মূল্যায়নের মাধ্যমে নম্বর দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বাদ দেয়া হয় চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষাও।