জানালেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
করোনা সংক্রমণ কমলে বইমেলার সময় বাড়বে
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৬:২২ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শুক্রবার
করোনা সংক্রমণ কমলে বইমেলার সময় বাড়বে
করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার কারণে ১৫ দিন পিছিয়ে উদ্বোধন হতে যাওয়া বইমেলা দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলতে পারে। যদি করোনার সংক্রমণ কমে আসে, তাহলেই এর মেয়াদ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলা উদ্বোধন হলেও এবার ১৪ দিন পিছিয়ে মেলা শুরু হচ্ছে ১৫ ফেব্রুয়ারি। সেই প্রস্তুতিই চলছে।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে মেলার সার্বিক প্রস্তুতি ঘুরে দেখেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে আমরা একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলাম মেলা করতে পারব কি পারব না। শেষ পর্যন্ত আমরা আশাবাদী ১৫ তারিখ আমরা উদ্বোধন করতে পারব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন।
‘মেলার যে সময়কাল দুই সপ্তাহ, আসলে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি যে বইমেলা মাসব্যাপী হয়। এবার কোভিডের কারণে তো আমরা ১ তারিখে শুরু করতে পারলাম না। কোভিড পরিস্থিতির ওপর বিবেচনা করে, যদি সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে আসে, কমে আসে, সহনশীলতার মধ্যে আসে তাহলে আমরা চেষ্টা করব মেলার সময় বৃদ্ধি করার জন্য।’
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ এরই মধ্যে নিম্নমুখী। সংক্রমণের হার কমে আসায় স্কুল কলেজ খুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনাও করছে সরকার।
সপ্তাহ দুয়েক আগে পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ হার যেখানে ৩৩ ছাড়িয়ে রেকর্ড গড়েছিল, সেটি এখন কমে এসেছে ১৫ শতাংশের আশেপাশে। এই সময়ে ২৪ ঘণ্টায় রোগীর সংখ্যা সাড়ে ১১ হাজার থেকে কমে ৫ হাজারের কোটায় নেমেছে।
তবে মৃত্যুর হার এখনও ভীতি জাগানিয়া। সম্প্রতি তা ২৪ ঘণ্টায় ৪০ এক কোটা ছাড়িয়ে যায়। তবে শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় ২৭ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি বছর আমরা দেখি যে শুরু হওয়ার পর আরও ২ থেকে ৪ দিন লাগে মেলার পূর্ণতা লাভ করতে। এবারও তাই হবে। ১৪ দিনের মধ্যে যদি ২ থেকে ৪ দিন চলে যায় হাতে তো সময়ই থাকবে না। সেই ক্ষেত্রে সংক্রমণ যদি কমে যায় মেলার সময় বাড়ানো যাবে।’
স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য আমরা প্রত্যেকটা প্রবেশপথে জীবাণুনাশক টানেল করছি। মাস্ক ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।’
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলার মাঠ ঘুরে স্টল, প্যাভিলিয়ন ও অবকাঠামো নির্মাণে কারিগরদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে।
মেলার মাঠজুড়ে পুরোদমে চলছে স্টল নির্মাণের কাজ। ইতিমধ্যে প্রায় শতাধিক স্টলের কাঠামো দাঁড়িয়ে গেছে।
১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বইমেলার উদ্বোধন করবেন।
রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল ২টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বইমেলা সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে মেলায় প্রবেশ করা যাবে রাত সাড়ে ৮ পর্যন্ত।
এ ছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে রাত সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।