হ্যাকার দিয়ে ইভিএম পরীক্ষার সুপারিশ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ১২:২৩ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শুক্রবার
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএমে) ধীরগতি সমস্যার সমাধানে দেশের বিভিন্ন কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত ট্যেকনিকাল কমিটি নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বেশকিছু সুপারিশ দিয়েছে। এ সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করতে গেলে হ্যাকারদের সহযোগিতা নিতে হবে সাংবিধানিক সংস্থা ইসিকে।
মূলত ইভিএমের ত্রুটি খুঁজতেই হ্যাকারদের সহযোগিতা নেয়ার সুপারিশ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক। হ্যাকার দিয়ে ত্রুটি সমাধানের এই সুপারিশকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
ইভিএমের ত্রুটি সমাধানে বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে টেকনিক্যাল কমিটির একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। অষ্টম ধাপের ইউপি ভোট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে অশোক কুমার দেবনাথ এসব কথা জানান।
হ্যাকারদের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘ছাত্র-শিক্ষক সবার কাছে উন্মুক্ত করে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে; যাতে তারা ভোটযন্ত্রটির ত্রুটি বের করে আনতে পারেন। আয়োজনটা হতে হবে সবার জন্য উন্মুক্ত।’
এই সুপারিশগুলো নতুন কমিশনের কাছে উপস্থাপন করা হবে জানিয়ে অশোক কুমার দেবনাথ জানান, কারিগরি কমিটির কাছ থেকে এই প্রস্তাব এসেছে। ইভিএমগুলো আরও বেশি ব্যবহারযোগ্য কীভাবে করা যায়, তা দেখা হবে।
ইভিএমের কারিগরি বিষয়ের সঙ্গে যারা প্রথম থেকে জড়িত ছিলেন তারা মতামত দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা বলেছেন, ইভিএমে ভোট দিতে প্রথম ধাপে ফিঙ্গার না মিললে ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ড সময় নেয়। তারপর আবার ফিঙ্গার দিতে হয়। এজন্য ইভিএমে ভোটগ্রহণে দেরি হচ্ছে। বাস্তবিক অর্থে মেশিনের কারণে ধীরগতি হচ্ছে না।’
বর্তমানে ইসির কাছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ইভিএম রয়েছে। এই যন্ত্রে দুটি ইউনিট। একটি নিয়ন্ত্রণ ইউনিট। আরেকটি ব্যালট ইউনিট। নিয়ন্ত্রণ ইউনিটে আঙুলের ছাপ মিললেই ব্যালট ইউনিটে সংশ্লিষ্ট ভোটারের ব্যালট পেপার খুলে যায়।
তবে যাদের আঙুলের ছাপ মেলে না, তারা প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সহায়তা নিয়ে ব্যালট ইউনিট খুলে ভোট দিতে পারবেন। তবে মোট ভোটারের এক শতাংশকে এই সুবিধা দিতে পারবেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।