অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

চাঁদ-পৃথিবীর সংঘর্ষের ‘মুনফল’ দেখা যাবে স্টার সিনেপ্লেক্সে

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৬:১৮ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সোমবার  

চাঁদ তার কক্ষপথ থেকে সরে এসেছে। ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। এই বিপর্যয় থেকে উদ্ধারের পথ কী? একজন সাবেক মহাকাশচারী, একজন নাসা বিজ্ঞানী ও একজন ষড়যন্ত্রতাত্ত্বিক পৃথিবীকে এই বিপর্যয় থেকে বাঁচাতে মিশনে নামেন। তাদের মিশন কতখানি সফল হয় সেটা দেখতে হলে যেতে হবে স্টার সিনেপ্লেক্স-এ।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও মুক্তি পেয়েছে সায়েন্স ফিকশন ডিজাস্টার ঘরানার ছবি মুনফল। রোনাল্ড এমেরিখ পরিচালিত এ ছবিটি ঢাকায় স্টার সিনেপ্লেক্সের সবগুলো শাখায় প্রদর্শিত হচ্ছে। হ্যালি বেরি, প্যাট্রিক উইলসন ও জন ব্র্যাডলিসহ আরও অনেকে রয়েছেন এ ছবিতে।

সৃষ্টির শুরুতে চাঁদ পৃথিবীর আরও কাছে ছিল। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখন থেকে প্রায় ৬০ কোটি বছর পরে চাঁদ পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরবে না। চাঁদ তখন পৃথিবীর কাছে একটি দূরের তারা হয়ে থাকবে। খালি চোখে চাঁদের সৌন্দর্য আর দেখাই হয়তো যাবে না। পৃথিবী থেকে অনেক দূরের কোনো কক্ষপথে ঘুরবে। এতে বিপর্যয় ঘটবে সভ্যতার অনেক নিয়মে।

শত কোটি বছর পরে, সূর্য চাঁদকে কক্ষপথ থেকে পুরোই বিচ্যুত করে দেবে। এতে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে পৃথিবী। বিজ্ঞানীদের এমন পূর্বাভাসকেই সেলুলয়েডের পর্দায় আনতে চেয়েছেন পরিচালক রোনাল্ড এমেরিখ। বরাবরই পৃথিবীর বিপর্যয় নিয়ে ছবির কথা বললে তার নাম সামনে চলে আসে।

ইনডিপেনডেন্স ডে, দ্য ডে আফটার টুমরো, ২০১২; একের পর এক সায়েন্স ফিকশন আর পৃথিবীর বিপর্যয় নিয়ে ছবি নির্মাণে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন এই নির্মাতা। ২০১৬ সালে ইনডিপেনডেন্স ডে: রিসারজেন্স-এর পরে মুনফল তৈরিতে তিনি সময় নিলেন পাঁচ বছর।

বেশ কয়েক বছর ধরেই ছবিটি নিয়ে কাজ করছেন ৬৬ বছর বয়সী এই নির্মাতা। প্রথমে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সাল-এর কাছে ছবির প্রাথমিক ধারণা বিক্রি করে দিয়েছিলেন এমেরিখ। পরে তিনি আবার তাঁর স্বত্ব নিয়ে নেন। এবার ছবিতে প্রচুর অর্থ লগ্নির জন্য চেষ্টা করেন। প্রকল্পটি নিয়ে আসেন কান চলচ্চিত্র উৎসবে। সেখান থেকে তিনি প্রচুর তহবিলও সংগ্রহ করেন যেন ছবিটি স্বাধীনভাবে নির্মাণ করা যায়।

করোনা মহামারীর মধ্যেও অবশেষে ছবিটি পর্দায় আনতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন পরিচালক। হলিউড রিপোর্টারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এ ধরণের ছবি নির্মাণ রীতিমত চ্যালেঞ্জিং। তাই সময় নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি। কোভিডের মধ্যে কাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন ছিলো। শেষ পর্যন্ত ছবিটি দর্শকদের সামনে আসছে এটা আনন্দের।’