অপরিস্কার রেল স্টেশন: ডিআরএম এবং স্টেশন ম্যানেজারকে বহিষ্কার
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৩:১৩ পিএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শনিবার
চট্টগ্রাম রেল স্টেশন পরিদর্শনে এসে স্টেশনের সামনে অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্নতা ও অব্যবস্থাপনা দেখে ক্ষেপেছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। এ সময় তিনি রেল স্টেশনের সামনের পার্কি এলাকা অপরিস্কার অপরিচ্ছন্ন দেখে ডিআরএম এবং স্টেশন ম্যানেজারকে সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ দেন।
সাময়িক বহিষ্কার করা কর্মকর্তারা হলেন-রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) এম শামস মোহাম্মদ তুষার ও স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২ টায় রেলমন্ত্রী পুরাতন রেল স্টেশনস্থ রেলওয়ে কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট্রের বহুতল ভবন নির্মাণের স্থান পরিদর্শনে আসেন তিনি। এসময় পুরাতন রেল স্টেশন থেকে নতুন রেল স্টেশন পর্যন্ত গিয়ে স্টেশনের সামনে অপরিস্কার এবং অব্যবস্থাপনা দেখে ক্ষেপে যান মন্ত্রী।
জানা গেছে, রেলওয়ের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব হলো বিভাগীয় চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মো. আনোয়ার হোসেনের। এ সময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন রেল সচিব মো. হুমায়ুন কবির, ডিজি ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের জিএম জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রধান প্রকৌশল মো. মো. সুবক্তগীন।
পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী দেবেন।
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের সিআরবিতে হাসপাতালের নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয় পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) চুক্তির আওতায়। যখনই মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু হয় তখনই পাল্টাপাল্টি অভিযোগগুলো আমাদের কাছে এসেছে। এসব অভিযোগ যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিদ্ধান্তক্রমে যেহেতু পিপিপিতে হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়, সেহেতু রেলওয়ে সিদ্ধান্ত দেয়ার কেউ না। আলাপ-আলোচনা চলছে। প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দিবেন সেটাই হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামের মন্ত্রী এমপি ও নেতারা যদি হাসপাতাল না চান তাহলে তো প্রধানমন্ত্রী চাইবেন না। আমরা রেল মন্ত্রণালয়ও সেটার বিরুদ্ধে যেতে পারব না।’