হিমেলের নামে হবে রাবির একাডেমিক ভবনের নামকরণ
ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট, রাবি
প্রকাশিত: ১২:৫৮ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার
ক্যাম্পাসের ভেতর ট্রাকচাপায় নিহত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী মাহবুব হাবিব হিমেলের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন বিজ্ঞান ভবনের নামকরণ করা হবে। সেইসঙ্গে রাস্তার নামকরণ ও একটি স্মৃতি ফলক নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাশ বাংলাদেশ মাঠে আয়োজিত শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের এক বৈঠকে তিনি একথা জানান।
এর আগে, মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ হবিবুর রহমান হল সংলগ্ন সড়কে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হন হিমেল। এ খবর জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হন। একপর্যায়ে তারা সেখানে থাকা চারটি ট্রাকে আগুন লাগিয়ে দেন। ঘটনার এক ঘণ্টা পরেও রাবি প্রশাসনের কেউ উপস্থিত না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ভিসির বাসভবনের গেটের তালা ভাঙার চেষ্টাও করেন।
পরদিন বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাশ বাংলার মাঠে আয়োজিত শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের বৈঠকে দশটি দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো, নিহত শিক্ষার্থী হিমেলের পরিবারকে ন্যুনতম ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয়ের বহন করা। জড়িত প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা। নির্মাণাধীন বিজ্ঞান ভবন রাস্তার নাম হিমেলের নামে করা এবং তার নামে একটি স্মৃতি ফলক নির্মাণ করা। রাস্তা ঠিক না করা পর্যন্ত সকল ধরনের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর, মেইনগেট ও কাজলা গেটে ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণ করা। রাকসু কার্যকর করা। বোটানিক্যাল গার্ডেনে রাস্তা শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা।
শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ‘আমারা প্রথম দাবির বিষয়ে কথা দিতে পারছি না। হিমেলের পরিবার যেন সম্মানজনকভাবে চলতে পারে তার জন্য যা করা দরকার আমারা করব।’ এসময় তিনি বাকি দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম, সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডেসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি, অনুষদের ডিনসহ বিভিন্ন বিভাগের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।