মুশফিক-ফ্লেচারে ঘরের মাঠে চট্টগ্রামের হার
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৩১ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০২২ শুক্রবার
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ঢাকা পর্বে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে হেরেছিল মুশফিকুর রহিমের খুলনা টাইগার্স। চট্টগ্রাম পর্বে শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) মিরাজের দলকে হারিয়ে তার প্রতিশোধ নিল খুলনা।
চট্টগ্রামের দেওয়া ১৪৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৭ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্য অতিক্রম করে খুলনা।
জবাব দিতে নেমে দলীয় ২ রানে শরিফুলের শিকার হন সৌম্য সরকার। সৌম্য আউট হলে রনি তালুকদারকে নিয়ে ৫০ রানের জুটি গড়েন আন্দ্রে ফ্লেচার। রনি ১৮ বলে করেন ১৭ রান। এরপর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে লক্ষ্যের দিকে এগোতে থাকে খুলনা টাইগার্স। কিন্তু ৫৮ রানে মিরাজ তুলে নেন ফ্লেচারের উইকেট। ৪৭ বলে তার ইনিংসে ছিল ৬ চার ও ২ ছয়ের মার।
শেষ দিকে সেকুগে প্রাসান্ন আউট হন ১৫ বলে ২৩ রান করে। কিন্তু মুশফিক জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন। ৩০ বলে ৪৪ রান করেন তিনি। চট্টগ্রামের হয়ে একটি করে উইকেট পান মিরাজ, শরিফুল ও নাসুম আহমেদ।
শুরুতে ব্যাট করা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে টানেন বোলাররা। আলোচিত কেনার লুইস এক রানে ফিরে গেলে ইংলিশ ব্যাটার উইল জ্যাকস এবং আফিফ হোসেন মিলে শুরুর বিপর্যয় ভালোভাবে সামাল দেন। পেরেরার বলে আউট হওয়ার আগে জ্যাকস ২৩ বলে করেন ২৮ রান। স্বাগতিকদের হয়ে ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়ান আগের দুই ম্যাচে তেমন রান করতে না পারা আফিফ হোসেন। ফরহাদ রেজার বলে মেহেদীর কাছে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩৭ বলে তিনি করেন ৪৪ রান।
এক ম্যাচ কিছুটা জ্বলে উঠলে আরেক ম্যাচে ব্যর্থ। বাংলাদেশে এমন ক্রিকেটারদের তালিকা করলে প্রথম সারিতেই থাকবেন সাব্বির রহমান। ঢাকা পর্বের শেষ ম্যাচে ত্রিশোর্ধ একটি ইনিংস খেললেও খুলনার বিপক্ষে করতে পেরেছেন ৪ বলে ৪। এছাড়া চট্টলা কাপ্তান মেহেদী মিরাজও ১০ বলে ৬ করে খুলনার মেহেদীর শিকার হয়ে ফিরে যান।
বেনি হাওয়েল, শামিমদের ব্যর্থতার পর নাঈম ইসলাম ও শরিফুল মিলে লড়াকু স্কোর গড়েন। সাগরিকায় ছোটখাটো ঝড় তুলে একশোর দোড়গোড়ায় আটকে যাওয়া চট্টগ্রামের ইনিংসকে টেনে নিয়ে যান একশ চল্লিশের কোঠায়। নাইম ১৯ বলে ২৫ আর শরিফুল অপরাজিত ছিলেন ৬ বলে ১২ রান করে। শেষদিকে তাদের ক্যামিওতে ভর করে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৩ রান করে স্বাগতিকরা। মুশফিকের খুলনার হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ তিন উইকেট পান থিসারা পেরেরা। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন কামরুল, নাবিল সামাদ, মেহেদী হাসান, সেকুগে প্রসন্ন এবং ফরহাদ রেজা।