ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৫
প্রকাশিত: ০৫:৩০ পিএম, ৫ নভেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার আপডেট: ০২:৫৭ পিএম, ৬ নভেম্বর ২০২০ শুক্রবার
শঙ্কিত পদযাত্রা
ধারাবাহিক আত্মকথা
। খ ম হারূন ।
খ্যাতিমান টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব খ ম হারূন। দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সম্পৃক্ত রয়েছেন দেশের টেলিভিশন এবং মঞ্চের সাথে। বাংলাদেশ টেলিভিশনের স্বর্ণময় সময়ে যে কয়েকজন নির্মাতা-প্রযোজকের নাম ছোট পর্দার কল্যাণে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে খ ম হারূন তাদের একজন। দীর্ঘ বর্ণিল ক্যারিয়ারে অসংখ্য উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন তিনি। এখনো রয়েছেন সমান সক্রিয়। দেশের গণমাধ্যম জগতের বরেণ্য এই ব্যক্তিত্বের আত্মকথা ‘শংকিত পদযাত্রা’ ধারাবাহিকভাবে
প্রকাশিত হচ্ছে অপরাজেয় বাংলা’য়।
[পর্ব-৫]
‘ছায়াবৃক্ষ’ নাটকটির কথা এখনো অনেকের মুখে শুনি। আমার পরবর্তি প্রজন্মের অনেকেও নাটকটির কথা মনে রেখেছে। সম্পূর্ণ নাটকটি সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় ধারণ করা হয়, যা ছিলো একটি পরীক্ষামূলক প্রযোজনা। পরীক্ষামূলক বললাম এই কারণে যে, বিটিভিতে সে সময় প্যাকেজ নাটক নিয়ে কথা বার্তা চলছে। সম্পূর্ণ বহিদৃশ্যে একটি প্যাকেজ নাটক বিটিভি’র বহিরাগত নির্মাতারা কিভাবে তৈরী করতে পারেন- এটি ছিলো তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বিটিভি প্যাকেজ নাটক চালু করেছিল বিষয় বৈচিত্র্যের জন্য। নতুন নতুন সম্ভাবনাময় নাট্যকার, পরিচালক, অভিনেতা, অভিনেত্রী, কলাকুশলী সৃষ্টির জন্য। কিন্তু সেটা কি সম্ভব হয়েছে?
নতুন নতুন মুখ টিভি মিডিয়াতে এসেছে, নতুন নতুন প্রডাকশন হাউজ গড়ে উঠেছে- কিন্তু সর্বোপরি যেটা হয়েছে সেটা হলো বিষয় বৈচিত্র্য নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সাহস কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। এখন কত কম খরচে কম পরিশ্রমে একটি নাটক নির্মাণ করা যায় সেটাই মুখ্য উদ্দেশ্য। ভালোবাসা হারিয়ে গেছে বাণিজ্যের কাছে!
মাহবুব জামিল ভাইয়ের আরেকটি নাটক আমি নির্মাণ করেছিলাম যার নাম ‘হৃদয়ে যাতনা এখন’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতি, রাজনীতিতে ছাত্রদের ব্যবহার, ছাত্র হত্যা- এসবই উঠে এসেছে এ নাটকে। নাটকটি সম্প্রচার হয়েছিল ১৯৯৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর। বিজয় দিবসের বিশেষ নাটক ছিলো সেটি। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তৌকির আহমেদ, টনি ডায়েস, আবুল কাসেম ও আবু নওসাদ। এ নাটকে কোন মহিলা চরিত্র ছিলো না। নাটকটির উল্লেখযোগ্য অংশ ধারণ করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনের রাস্তা থেকে শাহবাগ মোড়, অন্যদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
বেশ জোরদার প্রস্তুতি ছিলো আমাদের। পুলিশের আইজি’কে চিঠি দিয়ে কয়েক গাড়ি রায়ট পুলিশ আনা হয় এ নাটকে অংশগ্রহণের জন্য। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন ও জসিমউদ্দিন হলের কয়েকশত ছাত্র- সব মিলিয়ে বিশাল আয়োজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অনুমোদনও নেয়া হয়েছিল। ছাত্র মিছিল, পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ, ছাত্রদের অস্ত্র নিয়ে দৌড়াদৌড়ি, এ্যাম্বুলেন্স - সে এক এলাহিকান্ড। ক্যামেরাম্যান নজরুল ইসলাম ও আনেয়ার হোসেন বুলু কখনো মিছিলের সাথে, কখনো রিকশার উপর, কখনো গাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে ছবি নিচ্ছেন। এর মাঝে কিছু ছাত্র এসে সত্যি সত্যিই রিকশা ভাঙচুর করা শুরু করে। ছাত্রদের মাঝে তখন শৃংখলা ফিরিয়ে আনা সত্যিই কঠিন হয়ে পড়ে, কেউ কেউ পুলিশের দিকে ঢিল মারতে শুরু করে। পুলিশ এগিয়ে আসছে রাইফেল হাতে। কিন্তু যেটা হয়েছে সেটা হলো কেউ ক্যামেরাম্যানদের কাজে বাধা দেয়নি।
এতো সব গুলাগুলি ও টিয়ার গ্যাসের শব্দের মাঝে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ছুটে এলেন, ছুটে এলেন সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের পুলিশ কন্ট্রোল রুমের কয়েকজন অফিসার। কি ঘটছে তাদের কাছে অজানা। তারা বিভিন্নজনকে জিজ্ঞাসা করে অনেক বাধা পেরিয়ে অবশেষে আমার কাছে হাজির হলেন। আমি তাদের অনুমতিপত্র দেখালাম। অবশেষে তাদের স্বস্তি।
এ নাটকটির পর জামিল ভাই বিটিভির জন্য আর কোন নাটক রচনা করেননি। অচেনা বন্দর, হৃদয়ে যাতনা যখন, হৃদয়ে যাতনা এখন এবং ছায়াবৃক্ষ - তার লেখা এই নাটকগুলি নিয়ে তিনি ‘ছায়াবৃক্ষ’ নামে একটি বই প্রকাশ করেছিলেন। তবে জামিল ভাই আরো একটি নাটক লিখেছিলেন আমার জন্য। ‘এখনো কুয়াশা’- নামের টেলিফিল্মটি আরটিভিতে প্রচারিত হয়েছিল ২০০৬ এর ঈদ অনুষ্ঠানমালায়। আমার পক্ষে ঐ নাটকটি সে সময় পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। সে ক্ষোভ জামিল ভাই এখনো ভুলতে পারেন না। ‘এখনো কুয়াশা’ নাটকটির সকল দৃশ্য চিত্রায়িত হয়েছিল বান্দরবান এলাকায়। চিম্বুক পাহাড় আর ঐ পাহাড়ের একটি রেষ্ট হাউজে টেলিফিল্মটির বেশ কিছু দৃশ্য ছিলো। ‘ছায়াবৃক্ষ’ নাটকের সাফল্যের পর থেকেই তার পরিকল্পনা ছিলো চিম্বুককে কেন্দ্র করে একটি নাটক লেখার। অবশ্য জামিল ভাই স্বপ্নের এই নাটকটি লিখে যখন শেষ করলেন তখন ২০০৬ সাল। কয়েক বছর আগের পরিকল্পনা। ১৯৯৩ সালে ‘ছায়াবৃক্ষ’র শুটিং এর সময়ে সিলেটের একটি চা বাগানে ম্যানেজার শাহ আলম সাহেবের বাংলোর টেরেসে বসে জামিল ভাই আমাকে এবং বুলুকে ‘এখনো কুয়াশা’র গল্প শোনান। ১৩ বছর পরে যখন সেটি আলোর মুখ দেখলো আমি তখন আরটিভিতে। বুলু বিটিভি ছেড়ে দিয়েছে। একটি নতুন টিভি চ্যানেলকে দাঁড় করানোর জন্য রাত দিন কাজ করি। নতুন নতুন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করি। এর মাঝে কয়েক দিনের ছুটি নিয়ে ‘এখনো কুয়াশা’ নির্মান করার জন্য বান্দরবান যাওয়ার সময় এবং সুযোগ কোনটিই করতে পারিনি। ‘এখনো কুয়াশা’র প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তারানা হালিম, আহমেদ রুবেল ও শোয়েব। ‘এখনো কুয়াশা’ পুনঃনির্মাণ করার পরিকল্পনা এখনো জামিল ভাইয়ের আছে।
বিটিভি’র ইতিহাস লিখতে গেলে যে ক’জন ব্যক্তির নাম উঠে আসবে তার মধ্যে অবশ্যই থাকবেন পাকিস্তান আমলে প্রতিষ্ঠিত এই টিভি কেন্দ্রের প্রধান জামিল চৌধুরী এবং পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে এই প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক এম এ সাঈদ। এ দু‘জনকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনকে নিয়ে কোনো কিছু লেখা সম্ভব হবে না। ১৯৮৯ সালে ‘বাংলাদেশ টেলিভিশনের ২৫ বছর’ এই নামে বিটিভি থেকে একটি সংকলন প্রকাশিত হয়েছিল সেখানে জামিল চৌধুরী, বেগম সুফিয়া কামাল, কবীর চেীধুরী, কলিম শরাফী, আনিসুজ্জামান, সৈয়দ শামসুল হক, আবদুল্লাহ আল-মামুন সহ অনেক গুণীজনের লেখা স্থান পায়। অনেক অজানা তথ্য জানা যায় ঐ সংকলনটি থেকে।
জামিল চৌধুরী বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন। ঢাকা টেলিভিশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। পাকিস্তান আমলে এই টিভি কেন্দ্রের মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠা করার পিছনে তার রয়েছে উল্লেখযোগ্য অবদান। ‘ছায়ানটে’র সাথে জড়িত প্রগতিশীল এই মানুষটি ১৯৭৫ এর নভেম্বরে রামপুরার টিভি ভবনে যে হত্যাকাণ্ড হয় তার প্রতিবাদে সেই যে টিভি ভবন ত্যাগ করলেন তারপর বহু বছর তাকে টিভি ভবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। তবে তিনি এসেছিলেন অনেক পরে। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর অনুরোধে ২০১৪ সালে বিটিভি’র পঞ্চাশ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে।
১৯৮০ সাল হতে আমরা অনেকেই চেষ্টা করেছি কোনো অনুষ্ঠানে বা সেমিনারে তাকে বিটিভি ভবনে নিয়ে আসার জন্য, কিন্তু কিছুতেই তখন তাকে রাজি করাতে পারিনি। এক বুক অভিমান নিয়ে দূরে থাকলেও তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন- ‘জাতীয় সম্প্রচার একাডেমী’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে যার নাম হয় ‘জাতীয় গণমাধ্যম ইনষ্টিটিউট’।
জামিল চৌধুরী, ঢাকা টেলিভিশন কেন্দ্রের একজন প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী, বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রথম মহাপরিচালক এবং জাতীয় সম্প্রচার একাডেমির প্রথম প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক। ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় তার যে অবদান, তা বোধ হয় আমরা ভুলেই যেতে বসেছি।
১৯৭১-এর ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে ঢাকা টেলিভিশনে অনুষ্ঠান সমাপ্তিকালীন সময়ে পর্দায় পাকিস্তানের পতাকা দেখানো হয়নি। নেপথ্য থেকে এ কাজে যিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি জামিল চৌধুরী। ২৫ মার্চের পর তিনি ঢাকা টিভি কেন্দ্র ছেড়ে চলে যান রণাঙ্গনে, মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে।
অন্যদিকে এম এ সাঈদ ছিলেন একজন সিএসপি অফিসার। গোপালগঞ্জের মানুষ। রুচিশীল, কাজপাগল এই মানুষটি ১৯৭৯ হতে ১৯৮১ পর্যন্ত বিটিভি’র মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিটিভিতে যোগদান করার পরপরই নানা সমস্যায় আক্রান্ত এই প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতির চাকা সচল করে দেন। কাজে নিয়ে আসেন নতুন মাত্রা।
এম এ সাঈদ বিটিভির সব শূন্য পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেন। আগে যেসব নিয়োগ দু’তিন বছর যাবৎ ঝুলে থাকতো, তিনি দ্রুত গতিতে দু’তিন সপ্তাহের মধ্যে তা চুড়ান্ত করতে পারতেন। সে সময়ে ঢাকার যেসকল সৃজনশীল তরুণ সংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন তাদের একটি অংশ এই সময়ে বিটিভিতে কাজ করার সুযোগ পান। অনেকেই প্রযোজক, শিল্প-নির্দেশক, চিত্রগ্রাহক পদে যোগদান করেন।
বিটিভিকে একটি আন্তর্জাতিক চ্যানেলে রূপান্তরিত করার জন্য যা যা করা দরকার তার সবই করতে থাকেন এম এ সাঈদ। ‘টিভি কিউ’ প্রকাশনা, দর্শক মতামত জরিপ সেলের কার্যক্রম-এ সম্পর্কে আগেই কিছুটা বলেছি। এরপর তিনি দেশে বিদেশে বিভিন্ন প্রকার ট্রেনিং সহ নানা ওয়ার্কশপে সবাইকে পাঠাতে শুরু করেন। ১৯৮০ সালেই বিটিভি থেকে একসাথে ১৩ জন প্রযোজক মালয়েশিয়ায় ‘এশিয়া প্যাসেফিক ইনষ্টিটিউট ফর ব্রাডকাষ্টিং ডেভেলপমেন্ট’ (এআইবিডি)-এ যান প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে। এবং পাশাপাশি ঢাকায় ‘জাতীয় সম্প্রচার একাডেমি’তে চলতে থাকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। একাডেমির মহাপরিচালক জামিল চৌধুরী নানা ধরনের প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করেন বিটিভির কর্মকর্তাদের জন্য।
এরপর সাঈদ সাহেবের যে উদ্যোগ তা ছিল বিশাল। সাদাকালো টেলিভিশনকে রঙিনে উন্নিত করা। এটা অনেক বড় একটি প্রকল্প। এজন্য বিটিভির সেট লাইটের পাশাপাশি ক্যামেরা, এডিটিং মেশিন, ট্রান্সমিটার সহ সব সম্প্রচার যন্ত্রপাতি পরিবর্তন করার প্রয়োজন ছিলো। অত্যন্ত দ্রুতগতিতে কয়েক মাসের মধ্যেই বিটিভি ১৯৮০ সালের বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে সফলতার সাথে রঙিন জগতে প্রবেশ করে। বিটিভি’র আগে দক্ষিন এশিয়ায় আর কোনো টিভি চ্যানেল তখনো রঙিন জগতে প্রবেশ করেনি। বিটিভিকে রঙিনে উন্নিত করেই তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন না। অনুষ্ঠানের মানোন্নয়নের পাশাপাশি তিনি চালু করেন বিটিভির দ্বিতীয় চ্যানেল। প্রতিদিন কয়েক ঘন্টা এই দ্বিতীয় চ্যানেলটি চালু থাকতো। সেটিকে একটি পূর্নাঙ্গ চ্যানেল হিসেবে চালু করার পরিকল্পনা তার ছিলো।
লে. জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণের কিছুদিন পর সাঈদ সাহেবকে বিটিভি থেকে সরিয়ে দেন। এরশাদ আবার যোগ্য লোকের কর্মদক্ষতাকে মূল্যায়ন করতেন। তাই এক সময় তিনি এম এ সাঈদকে শিক্ষা সচিব নিযুক্ত করেন। শিক্ষা সচিব থাকা কালে তিনি শিক্ষা বিষয়ক একটি পূর্নাঙ্গ টিভি চ্যানেল চালু করার উদ্যোগ নেন। কিন্তু ততদিনে বিটিভির দ্বিতীয় চ্যানেলটি বন্ধ হয়ে গেছে।
সব থেকে অবাক করা ও মজার ব্যাপার হলো এম এ সাঈদ সাহেবের সময়ে বিটিভির যে উন্নয়ন এবং বিভিন্ন পদে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হয়েছিলো, তিনি এ প্রতিষ্ঠান থেকে চলে যাবার পরপরই তা মুখ থুবড়ে পড়ে। ১৯৮১ এর পর ২০০৮, দীর্ঘ ২৭ বছরে বিটিভিতে সৃজনশীল পদগুলোতে নতুন মুখের দেখা মেলেনি।
চলবে...
আরও পড়ুন
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৪
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৩