জাবি ছাত্রীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন শাবিপ্রবি ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ
জাবি করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৪:২০ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২২ সোমবার আপডেট: ০৪:২১ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২২ সোমবার
শাবিপ্রবি ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিয়ে তার আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার (২৪ জানুয়ারি) এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আজ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের কাছে ফোন করে ছাত্রীদের নিয়ে মন্তব্যের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন শাবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘তার বক্তব্য সম্পাদনা (এডিট) করে ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। এতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট সবাই আহত হয়েছেন।
‘তিনি এ বিষয়টি অনুধাবন করছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উদার ও প্রগতিশীল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা তাকে ক্ষমা করে দেবেন।’
এর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ অস্বীকার করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
তার নামে ছড়িয়ে পড়া অডিওটিকে ‘বোগাস’ আখ্যায়িত করে উপাচার্যের দাবি, এ ধরনের কোনো মন্তব্য তিনি করেননি।
শাবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যেই অডিও ক্লিপটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
শাবি উপাচার্যের কথিত অডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘যারা এই ধরনের দাবি (ছাত্রী হলে রাত ১০টা পর্যন্ত ঢোকার অনুমতি) তুলেছে, যে বিশ্ববিদ্যালয় সারা রাত খোলা রাখতে হবে, এইটা একটা জঘন্য রকম দাবি। আমরা মুখ দেখাইতে পারতাম না। এখানে আমাদের ছাত্রনেতা বলছে যে, জাহাঙ্গীরনগরের মেয়েদের সহজে কেউ বউ হিসেবে চায় না।'
‘কারণ সারা রাত এরা ঘোরাফেরা করে। বাট আমি চাই না যে আমাদের যারা এত ভালো ভালো স্টুডেন্ট, যারা এত সুন্দর, এত সুন্দর ডিপার্টমেন্টগুলো, বিখ্যাত সব শিক্ষক... তারা যাদের গ্র্যাজুয়েট করবে, এ রকম একটা কালিমা লেপুক তাদের মধ্যে।’
শাবি উপাচার্যের এ ধরনের মন্তব্যে তৈরি হয় নতুন ক্ষোভ। এর প্রতিবাদে সরব হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিও এই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেয়।