হামলার দায় প্রশাসন এড়াতে পারেনা: শাবিপ্রবির শিক্ষকদের বিবৃতি
শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৩:০৯ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০২২ রোববার আপডেট: ০৩:১১ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০২২ রোববার
হামলার দায় প্রশাসন এড়াতে পারেনা: শাবিপ্রবির শিক্ষকদের বিবৃতি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রশাসন দায় এড়াতে পারে না বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদের’ নেতারা।
শিক্ষকদের এই প্যানেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ মস্তাবুর রহমানের এক বিবৃতিতে এমন দাবি জানানো হয়।
হামলার ছয়দিন পর এ ঘটনায় শিক্ষকদের কোনো পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি এলো।
সিরাজুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে উপাচার্যকে মুক্ত করে পুলিশ। দুইপক্ষের সংঘর্ষ শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।
হামলার পর ওই রাত থেকেই উপাচার্য, প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এই দাবিতে আমরণ অনশনও চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের তিনটি বলয় রয়েছে। আওয়ামী-বামপন্থি শিক্ষকদের প্যানেল ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তচিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’। আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’ ও বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধে শ্রদ্ধাশীল শিক্ষক পরিষদ’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তচিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’। আর শনিবার বিবৃতি দেয়া ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’ প্রশাসনিক দায়িত্ব থাকা শিক্ষকদের বিরোধী বলয়ের।
‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’-এর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের জীবন বিপন্ন হতে চলেছে। এমতাবস্থায় শিক্ষক হিসেবে আমরা শুরু থেকেই চলমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে লক্ষ্য করছি যে, দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের আক্রমণের ব্যাপারে কোনো অফিশিয়াল ব্যাখ্যা প্রকাশ্যে না-দিয়ে কালক্ষেপণ করে অনশনরত শিক্ষার্থীদের জীবন চরম সংকটের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন।
‘আমরা চরম হতাশার সঙ্গে লক্ষ্য করেছি এ সংক্রান্ত একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও বাস্তবে উল্লেখিত তদন্ত কমিটি কোনো রকম অগ্রগতি করেছে বলে দৃশ্যমান হচ্ছে না। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে-যাওয়া ঘটনার দায়ভার কোনোভাবেই প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এড়াতে পারেন না।’
বিবৃতি বলা হয়, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাবতীয় বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক ব্যক্তিদের প্রত্যেকের অফিশিয়াল ব্যাখ্যা জনসমক্ষে উপস্থাপন করার দাবি জানান হচ্ছে।’