অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

শিক্ষা উপমন্ত্রীর তথ্য

১২-১৮ বছর বয়সী ৬৪ ভাগ শিক্ষার্থী করোনার টিকা পেয়েছে

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৬:০৩ পিএম, ১৭ জানুয়ারি ২০২২ সোমবার  

দেশের ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৪ ভাগকে করোনার টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে

দেশের ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৪ ভাগকে করোনার টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে

দেশের ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৪ ভাগকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। 

তিনি বলেছেন, ‘আমাদের ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থী প্রায় ১ কোটি ১৬ লাখ ২৩ হাজার ৩২২ জন। এদের মধ্যে রবিবার পর্যন্ত ৭৭ লাখ ১৮ হাজার ৩৩৭ জনকে অর্থাৎ ৬৪ দশমিক ০৪ শতাংশ শিক্ষার্থীকে প্রথম ডোজ টিকা দিতে সক্ষম হয়েছি। পৃথিবীর অনেক দেশের এত বিশাল জনসংখ্যাও নেই। আমাদের শিক্ষার্থী এত বেশি। তাদের দিতে পারছি।’

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনা অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী। গত রবিবার জাতীয় সংসদে নতুন বছরের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

নওফেল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের প্রায় সব শিক্ষককে টিকা দিতে পেরেছি। প্রায় শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকা শিক্ষার্থীর ৯০ ভাগকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। আমরা পর্যায়ক্রমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সর্বত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে টিক দিতে পারছি।’

তিনি বলেন, ‘টিকা সংকটের কারণে পৃথিবীর অনেক দেশই এখনও টিকা দিতে পারছে না। সেখানে আমাদের শিক্ষা পরিবারের মধ্যে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) একেবারে বিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত টিকা দেওয়ার জন্য তা সংগ্রহ করিয়েছেন। সেটা দিতে পারছি। এটার জন্য তাকে (প্রধানমন্ত্রী) বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’

শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি সারাবিশ্ব যেখানে করোনা মহামারির দুর্যোগের মধ্যে যাচ্ছে। সেখানে আমাদের দেশে যারা এখনও প্রাপ্ত বয়স্ক হয়নি, তাদের জন্য ফাইজারের মতো দামী টিকা দেওয়া হচ্ছে।’

করোনার সময়ে সরকার ডিজিটাল মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা চালু রাখতে পেরেছে বলে জানান শিক্ষা উপমন্ত্রী। বর্তমান সরকার কারিগরি শিক্ষায় নজর দিচ্ছে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘আমরা আমাদের নতুন কারিকুলামের মধ্যে বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করছি। জার্মানি, সিঙ্গাপুরসহ উন্নত বিশ্বে যেটা বাধ্যতামূলক, যা আমাদের দেশে ছিল না। যেটা বঙ্গবন্ধুও চেয়েছিলেন।’