মাঝ-আকাশে বাচ্চা প্রসব করালেন কানাডার চিকিৎসক, নাম হলো তার
সাতরং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৩৮ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০২২ শনিবার
ডক্টর আইশা খাতিব পড়ান কানাডার টরোন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে। দোহা থেকে উগান্ডার এনটাবে যাচ্ছিলেন তিনি কাতার এয়ারওয়েজ-এর বিমানে চড়ে।
টরোন্টোতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেক বেশি। ওখানে কাজের চাপে দম ফেলবার ফুরসত পেতেন না খাতিব। তাই বিমানের যাত্রাটুকুতেই বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তিনি।
কিন্তু নীলনদের ওপরে ৩৫ হাজার ফুট উঁচুতে চলা বিমানের ইন্টারকমে হঠাৎ শোনা গেল: এ বিমানে কি কোনো চিকিৎসক আছেন? তড়িঘড়ি করে উঠে দেখতে গেলেন ঘটনা কী। তিনি ভেবেছিলেন কারও হয়তো হার্ট অ্যাটাক বা ওরকম কিছু হচ্ছে।
উগান্ডার একজন অভিবাসী কর্মী সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরছিলেন। তারই মাঝ আকাশে প্রসব বেদনা উপস্থিত হয়। ডক্টর খাতিব গিয়ে দেখেন সে নারী শুয়ে আছেন, তাকে ঘিরে আছেন অনেকেই। বাচ্চাটি মায়ের গর্ভ থেকে বের হতে শুরু করেছে।
ওই সদ্য-মায়ের ভাগ্য বেশ সুপ্রসন্ন, সেখানে আরও দুইজন চিকিৎসা-সম্পর্কিত ব্যক্তি ছিলেন; একজন ক্যন্সারবিশেষজ্ঞ নার্স ও ডক্টর উইদাউট বর্ডার্স-এর আরেকজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ। তারা সহায়তা করলেন ডাক্তার খাতিবকে।
সফলভাবে বাচ্চার জন্ম হওয়ার পর পুরো বিমানে হাততালির ধুম লেগে যায়। বাচ্চার মা খুশি হয়ে সন্তানের নাম রেখেছেন তার ডাক্তারের নামে। তখন নিজের গলা থেকে সোনার নেকলেস খুলে বাচ্চাকে উপহার দেন আইশা।
ঘটনাটি ঘটেছে ২০২১ সালের ৫ ডিসেম্বর। কোভিড রোগীদের চিকিৎসা দিতে ব্যস্ত থাকায় এতদিন এ খবর শেয়ার করতে পারেননি ডক্টর আইশা।
উগান্ডায় স্থানীয় চিকিৎসাকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে গিয়েছিলেন আইশা। ফিরেছেন ১৮ ডিসেম্বর। ফেরার পথেও আবারও আশ্চর্যজনকভাবে বিমানে চিকিৎসকের ডাক পড়ল। তবে এবার সেখানে আরেকজন চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। ডক্টর আইশা মজা করে বলেছিলেন, 'এবারেরটা আপনাদের ওপর। আমি দুই সপ্তাহ আগে একটি বাচ্চার ডেলিভারি করিয়েছিলাম। যদি দরকার হয়, আমি অমুক সিটে আছি।'
বিবিসি অবলম্বনে।