পৃথিবীর কাছ দিয়ে ধেয়ে যাবে বিশাল উল্কাপিণ্ড
সাই-টেক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:২৪ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার আপডেট: ০৩:২৬ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার
পৃথিবীর কাছ দিয়ে ধেয়ে যাবে বিশাল উল্কাপিণ্ড
যারা নেটফ্লিক্স-এর সিনেমা ডোন্ট লুক আপ দেখেছেন, তারা শিরোনাম পড়ে কিছুটা চোখ কুঁচকে তাকিয়েছেন বোধহয়। তবে ভয়ের কিছু নেই, এ উল্কাপিণ্ডটি পৃথিবীকে আঘাত করবে না, বরং পাশ কাটিয়ে চলে যাবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত এম্পায়ার স্টেইট বিল্ডিং-এর উচ্চতা ৪৪৩ মিটার। আসন্ন উল্কাটির আকার দুইটি এম্পায়ার স্টেইটের চেয়েও বেশি, প্রায় ১১০০ মিটার। এটির নাম হচ্ছে (৭৪৮২) ১৯৯৪ পিসি১।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (ক্যালটেক)-এ অবস্থিত নাসা’র জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি (জেপিএল)-এর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ১৮ জানুয়ারি পৃথিবীর ন্যূনতম দূরত্ব দিয়ে পাশ কাটিয়ে যাবে এ উল্কাটি। এর গতিবেগ থাকবে ৭০ হাজার ৪১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। পৃথিবী থেকে ০.০১৩২৪ অ্যাস্ট্রনমিক্যাল ইউনিট দূরে থাকবে উল্কাটি। সহজ ভাষায় পৃথিবী থেকে প্রায় ২০ লাখ কিলোমিটার দূরে থেকে এটি গ্রহটিকে অতিক্রম করবে।
আরও পড়ুন: পৃথিবীতে উল্কাপিণ্ড আঘাত হানলে কী হবে?
২০ লাখ কিলোমিটারকে অনেক দূর মনে হলেও কসমিক দূরত্বে দিক থেকে এত বড় একটি মহাজাগতিক বস্তুর জন্য এটি কম দূরত্বই বলা চলে। যদিও পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষের কোনো আশঙ্কা নেই, তারপরও নাসা এটিকে ‘সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ বস্তু’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
১৯৯৪ সালের নয় আগস্ট জ্যোতির্বিজ্ঞানী রবার্ট এইচ. ম্যাকনট প্রথমবারের মতো এ উল্কাটি পর্যবেক্ষণ করেন। বিজ্ঞানীরা হিসেব করে দেখেছেন প্রতি ৫৭২ দিন পরপর সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে এ উল্ককাপিণ্ডটি। ১৯৩৩ সালের ১৭ জানুয়ারি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি এসেছিল এটি। ১৮ জানুয়ারি আকাশ পরিষ্কার থাকলে টেলিস্কোপ দিয়ে পৃথিবীর অনেক স্থান থেকেই এ উল্কাপিণ্ডটিকে দেখতে পাওয়া যাবে। পৃথিবীর কাছে আবার এ উল্কাটিকে দেখতে হলে অপেক্ষা করতে হবে আগামী ২১০৫ সাল পর্যন্ত।
লাইভ সায়েন্স অবলম্বনে।