ইসরায়েলের আয়রন ডোম যেভাবে কাজ করে
সাতরং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৪৬ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০২২ বুধবার
আয়রন ডোম
ইসরায়েলের আয়রন ডোম বিশ্বের অন্যতম সফল ও শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। রকেট ও আর্টিলারি হামলার বিরুদ্ধে ভীষণ কার্যকরী এ জঙ্গম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি তৈরি করেছে দেশটির রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেম ও ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ। অবশ্য কিছু সহযোগিতা মর্কিন যুক্তরাষ্ট্রও করেছিল।
আয়রন ডোম প্রায় ১৫০ বর্গ কিলোমিটার শহুরে এলাকায় নিরাপত্তা দিতে পারে। এখন পর্যন্ত এটি ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ বার এর টার্গেট ধ্বংস করার ক্ষেত্রে সফল হয়েছে।
২০০৬ সালে লেবাননের হিজবুল্লাহ’র সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধ হয়। সে সময় হিজবুল্লার ছোঁড়া কয়েক হাজার রকেটে ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তখন নতুন একটি মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম তৈরি করার পরিকল্পনা করে ইসরায়েল। সে পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১১ সাল থেকে কাজ শুরু করে আয়রন ডোম।
আয়রন ডোমের তিনটি প্রধান অংশ রয়েছে। প্রথম ধাপে 'দ্য ডিটেকশন অ্যান্ড ট্র্যাকিং রেডার' নিক্ষিপ্ত রকেটকে চিহ্নিত করে এবং এর গতিপথকে অনুসরণ করতে থাকে।
এরপর দ্বিতীয় ধাপে 'দ্য ব্যাটল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড উয়েপন কন্ট্রোল' সিস্টেম হিসাব করে দেখে ওই রকেট ইসরায়েলের কোথায় পড়বে। এ সিস্টেম কেবল সেসব টার্গেটকেই হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে যেগুলো থেকে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খোলা জায়গায় পড়বে এবং কোনো ক্ষতি হবে না, এমন রকেট ধ্বংস করে না আয়রন ডোম।
সর্বশেষ কাজ হলো 'মিসাইল ফায়ারিং ইউনিট'-এর। যখনই কোনো রকেট হুমকি হিসেবে রেকর্ড করা হয়, তখনই মিসাইল ছুঁড়ে আয়রন ডোম। ওই মিসাইল আকাশে থাকা রকেটের খুব কাছাকাছি বিস্ফোরিত হয়ে রকেটটিকে আকাশেই ধ্বংস করে।
আয়রন ডোম পরিচালনার খরচও প্রচুর। এজন্য খোদ ইসরায়েলেই এটি নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। একটি রকেটকে ধ্বংস করার জন্য প্রায় এক থেকে দেড় লাখ ডলার খরচ করতে হয়। যেখানে বিপরীতপক্ষ থেকে ছোঁড়া রকেটগুলোর দাম কেবল ৮০০ থেকে ১০০০ ডলারের মধ্যে।
বিবিসি ও ওয়ার হিস্ট্রি অনলাইন অবলম্বনে।