দৃষ্টিনন্দন সেঞ্চুরির পর সাজঘরে লিটন
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:০০ এএম, ১১ জানুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার
ইনিংস ও পরাজয়ের ব্যবধান কমাতে এখনো লড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। একে একে সব ব্যাটারই আউট হয়ে যাচ্ছেন। তার মাঝে একাই এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করে গেছেন লিটন দাস। এরই মধ্যে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি।
যে সেঞ্চুরি এসেছে বোল্ট-সাউদির সুইং আর ওয়েগনার-জেমিসনের বাউন্সার প্রতিরোধ করে। একের পর এক উইকেট চলে যাওয়া টালমাটাল ব্যাটিংয়ের হাল ধরে। ব্যাটিং অবশ্য দীর্ঘ করতে পারেননি লিটন। ফিরেছেন জেমিসনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে।
তবে লিটনের সেঞ্চুরি কেবল পরাজয়ের ব্যবধানই কমাচ্ছে। ৮ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর এখনও যে ১২৬ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ডের করা ৫২১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১২৬ রানে অল-আউট হয়ে ফলো-অনে পড়া বাংলাদেশ তৃতীয় দিনেই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং শুরু করে।
শুরু থেকেই সাবলীল মনে হচ্ছিল প্রথম ম্যাচে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করা মুমিনুলকে। আরও একটি ঝকঝকে ইনিংসের আশাই ছিল তার ব্যাট থেকে।
ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৭ রানের মাথায় ওপেনার সাদমান ইসলামকে ২১ রানে ফেরান কাইল জেমিনসন। এরপর অনেকটা আক্রমণাত্নক ব্যাটিং করে দ্রুত রান তোলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
নাঈম শেখকে সঙ্গে নিয়ে ৪৪ রানের জুটি গড়ে শান্ত বিদায় নেন ২৯ রান করে ওয়াগনারের বলে ট্রেন্ট বোল্টের কাছে ক্যাচ দিয়ে। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশকে আশা দেখাচ্ছিলেন মুমিনুল হক ও নাঈম শেখ।
নাঈম শেখ বেশ দেখে শুনেই ব্যাট চালাচ্ছিলেন। দুজনের জুটিও লম্বা হচ্ছিল ধীরে। তবে টিম সাউদিকে খেলতে গিয়ে আউটসাইড এজ হয়ে সেকেন্ড স্লিপে থাকা টম ল্যাথামের হাতে ক্যাচ তুলে দেন নাঈম। ৯৮ বলে ২৪ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন এই অভিষিক্ত ওপেনার।
শুরু থেকেই সাবলীল মনে হচ্ছিল প্রথম ম্যাচে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করা মুমিনুলকে। আরও একটি ঝকঝকে ইনিংসের আশাই ছিল তার ব্যাট থেকে। কিন্তু নেইল ওয়াগনারের বলে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৩৭ রানে প্রথম স্লিপে ধরা পড়ে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক।
এরপর ইয়াসির আলি রাব্বিও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি উইকেটে। পরে সোহোনকে নিয়ে শতরানের জুটি গড়েন লিটন। এরপর সোহান-মিরাজ ফিরে গেলে দ্রুত ব্যাট চালাতে গিয়ে আউট হন লিটনও।