অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

শেবাচিম-এ ইন্টার্ন ডাক্তার ধর্মঘট

কাজে ফিরেছেন ইন্টার্ন ডাক্তাররা, মাঝে মারা গেল ৪৬ জন রোগী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বরিশাল

প্রকাশিত: ০৪:২৪ পিএম, ৩ নভেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার   আপডেট: ০৬:০৪ পিএম, ৩ নভেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার

ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কমিশন বাণিজ্য নিয়ে, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ডাকা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে দুপুর ২ টায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইন্টার্ন ডাক্তার এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. সজল পান্ডে। দুপুরের পর হাসপাতাল পরিচালক কক্ষে পরিচালক ডাক্তার বাকির হোসেন ও ইন্টার্ন ডক্টরস এসোসিয়েশনের নেতাদের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে দুপুর তিনটায় প্রায় দেড়শো ইন্টার্ন ডাক্তার কাজে ফেরেন।

আরও পড়ুন: বরিশাল মেডিকেলে ইন্টার্নদের কর্মবিরতি, তিনদিনে মৃত্যু ৪৬

প্রসঙ্গত, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কমিশন বাণিজ্য নিয়ে ২০ অক্টোবর হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মাসুদ খানকে কক্ষে আটকে মারধর করেন ইন্টার্ন চিকিৎসক নো ডাঃ সজল পান্ডে ও তারিকুল ইসলাম। এ ঘটনায় ডা. মাসুদ খান ১০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এর প্রতিবাদে শনিবার (৩১ অক্টোবর) থেকে ইন্টার্ন ডাক্তাররা কর্মবিরতির ডাক দেন।

ইন্টার্ন চিকিৎসকের কর্মবিরতিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন হাসপাতালের রোগীরা। হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক সেলিনা পারভীন জানিয়েছিলেন, শনিবার (৩১ অক্টোবর) ১০ জন, রবিবার ১৭ জন এবং সোমবার ১৯ জন রোগী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। রোগীগুলো যখন মৃত্যুবরণ করেন তখনও হাসপাতালে চলছিল ইন্টার্নদের কর্মবিরতি। অর্থাৎ, ৩১ অক্টোবর (শনিবার) ইন্টার্নদের কর্মবিরতি শুরু হওয়ার দিন থেকে তিন দিনের হিসেবে বলছে, মৃত্যুর সংখ্যা প্রত্যেকদিন বেড়েছে। তিনদিনে মারা গেছেন ৪৬ জন। প্রত্যেক রোগীই যে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে মারা গেছেন বিষয়টা তেমন না হলেও, অধিকাংশ মৃতের স্বজন দাবি করছেন, তাদের রোগী মারা গেছেন চিকিৎসা না পেয়ে। যে কয়েকজন ডাক্তার চিকিৎসা দিচ্ছেন, সংখ্যায় কম হবার কারণে, তাদের পক্ষেও সম্ভব ছিলনা সবার চিকিৎসা নিশ্চিত করা।