অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

একটা উদাহরণ তৈরি করে যেতে চেয়েছি: এবাদত হোসেন

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৫৯ এএম, ৫ জানুয়ারি ২০২২ বুধবার  

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৭ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরা হয়েছেন টাইগার পেসার এবাদত হোসেন। কিউইদের দ্বিতীয় ইনিংসেই তার শিকার ৬ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ঐতিহাসিক এ জয়ের পর তিনি স্মরণ করেছেন তার অতীত জীবনকে। কথা বলেছেন তার সৈনিক জীবন, ভলিবল ও ক্রিকেট জীবন নিয়েও।

ম্যাচ শেষে এবাদত বলেন, নিউজিল্যান্ড টেস্টের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। আমরা তাদের হারিয়েছি। এটা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দেবে। তাদের জন্য এখানে জয়ের একটা উদাহরণ রেখে যেতে চেয়েছি।  

এবাদত আরও বলেন, ওটিস গিবসনের অধীনে আমি কঠোর পরিশ্রম করছি। আমি একজন সৈনিক এবং জানি কীভাবে উদযাপন করতে হয়। ভলিবল থেকে ক্রিকেটে আসার আমার একটা দীর্ঘ গল্প রয়েছে। এখন আমি ক্রিকেটকে উপভোগ করছি।

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের এটি ঐতিহাসিক জয়। কিউইদের মাটিতে এর আগে কোনো ফরম্যাটেই জিতেনি টাইগার বাহিনী। সেই গেরো কাটল ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ দিয়েই, তাও আবার ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৩২৮ রান করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৪৫৮ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ড ১৬৯ রান করলে জয়ের জন্য ৪০ রানের টার্গেট পায় মুমিনুল হক বাহিনী। সহজেই সে লক্ষ্য তাড়া করে টাইগাররা।

টেস্টে এবাদত যতবারই উইকেট নিয়েছেন, ততবারই দিয়েছেন একটি করে স্যালুট। বিষয়টা বেশ আগ্রহী করে তুলেছে অন্যদেরও। একেবারে সেনা সদস্যদের মত করে এমন স্যালুট দেয়ার রহস্য কী? প্রশ্ন করা হলো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের পর সঞ্চালকের পক্ষ থেকে।

জবাবে এবাদত হোসেন জানালেন তিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একজন সদস্য। স্যালুট দেয়াটা তার অভ্যাস। এবাদত বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একজন সদস্য, জানি কীভাবে স্যালুট দিতে হয়।’

আগে ছিলেন ভলিবল খেলোয়াড়। সেখান থেকে এলেন ক্রিকেটে। হলেন টেস্ট ক্রিকেটার। এখন ম্যাচ উইনার। কিভাবে সম্ভব হলো? জবাবে এবাদত বলেন, ‘ভলিবল থেকে ক্রিকেটে আসার গল্পটা অনেক লম্বা। আমি ক্রিকেটটা উপভোগ করছি। বাংলাদেশ ও বিমানবাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করাটাও।’