অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বিশ্বের কয়েকটি বহুল চর্চিত ষড়যন্ত্র তত্ত্ব

সাতরং ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৩:৩৭ পিএম, ৩ জানুয়ারি ২০২২ সোমবার   আপডেট: ০৫:২৬ পিএম, ৩ জানুয়ারি ২০২২ সোমবার

এরিয়া-৫১-তে এলিয়েন নিয়ে গবেষণা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অথবা চাঁদে কখনো কেউ যায়নি; কত রকম ষড়যন্ত্র তত্ত্বই না ছড়িয়ে আছে আমাদের চারপাশে। করোনাভাইরাস নিয়েও নানা রকম কনস্পাইরেসি থিওরি বা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রকাশ পায় নিয়মিতই। এসব তত্ত্বের সত্য-মিথ্যা বের করা ভীষণ দুরূহ। আজকের লেখায় জেনে নেওয়া যাক বিশ্বের জনপ্রিয় কয়েকটি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে।

নাইন-ইলেভেন

অনেকে মনে করেন নাইন-ইলেভেন-এর ঘটনার জন্য খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দায়ী। তাদের ভাষ্য প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি জানতেন সেদিন টুইন টাওয়ার ও পেন্টাগনে হামলা হবে। অনেক আবার মনে করেন ইহুদিরা এই হামলার পেছনে ছিল।

নাইন-ইলেভেন

চাঁদে অবতরণ

১৯৬৯ সালে নাসা তাদের নভোচারীদের চাঁদের মাটিতে পাঠায়। মানবসভ্যতার ইতিহাসে এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কিন্তু ১৯৭০-এর দশক থেকেই চাঁদে অবতরণ নিয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব শুরু হয়।

ষড়যন্ত্র তত্ত্বকারীদের মতে চাঁদে আসলে কেউ কখনো যায়নি। বরং এগুলো সবগুলো তৈরি করা ভিডিও। বাংলাদেশেও প্রচুর মানুষ বিশ্বাস করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাঁদে যাওয়ার ভিডিও পৃথিবীতে বসেই তৈরি করা।

চাঁদে অবতরণ

কেনেডি হত্যাকাণ্ড

১৯৬৩ সালে ডালাসে নিজের মটরকেডে বসা অবস্থায় আততায়ীর গুলিতে নিহত হন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি।

অনেকে মনে করেন খুনী লি হার্ভে অসওয়াল্ড-এর সাথে আরও একজন লোক ছিলেন যিনি পুরো হত্যাকাণ্ডে সহায়তা করেছেন। কেনেডিকে কারা হত্যা করেছে এ নিয়ে অনেকগুলো ষড়যন্ত্র তত্ত্ব রয়েছে। অনেকে মনে করেন ফিদেল কাস্ত্রোর সরকার এ ঘটনার মূল কারিগর। এ তলিকায় আছে সিআইএ, ভাইস প্রেসিডেন্ট লিন্ডন জনসন, বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইত্যাদি।

কেনেডি হত্যাকাণ্ড

কেমট্রেইলস

ছোটবেলায় আকাশে ধোঁয়ার লম্বা লাইন যেতে দেখলে রকেট ভেবে আনন্দ পেতেন অনেকেই। কিন্তু আদতে ওই ধোঁয়ার লেজ রকেট থেকে বের হয় না। এটি তৈরি করে সাধারণ যাত্রীবাহী বিমানই।

এগুলো তৈরি হয় বিমান থেকে বের হওয়া পানির ঘনীভূত কণা থেকে যা কনট্রেইলস নামে পরিচিত। কিছুক্ষণ পরেই এগুলো মিলিয়ে যায়।

কেমট্রেইলস

ষড়যন্ত্র তত্ত্বপ্রেমিকেরা ব্যাপারটা এত সহজে মানতে নারাজ। তাদের বিশ্বাস, বিভিন্ন সরকার বা বিজ্ঞানীরা এই ধোঁয়া নানা রাসানিক উপাদান দিয়ে তৈরি করে বায়ুমণ্ডলে ছেড়ে দেন। তাদের কাছে এটি কেমট্রেইলস নামে পরিচিত। এমনটা করার কারণ হিসেবে তারা জৈবযুদ্ধ, জনসাধারণকে নিয়ন্ত্রণ, জিওইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি তুলে ধরেন।

লাইভ সায়েন্স অবলম্বনে।