জলবায়ু পরিবর্তন
দশকের মধ্যেই বিলুপ্তির শঙ্কায় ১০ লাখ প্রজাতির প্রাণী
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৪ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শুক্রবার
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগামী এক দশকের মধ্যে পৃথিবী থেকে ১০ লাখ প্রজাতির প্রাণী নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ডের (ডব্লিউডব্লিউএফ) জার্মান শাখা এ বিপদের কথা শুনিয়েছে।
ডব্লিউডব্লিউএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, ডাইনোসর যুগের পর এই প্রথম এত প্রজাতির প্রাণী বিপদের মুখে পড়েছে বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনসারভেশন অব ন্যাচারের (আইইউসিএন) লাল তালিকা অনুযায়ী, বর্তমানে ১ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ প্রাণী ও গাছের প্রজাতি নিশ্চিহ্ন হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে।
ডব্লিউডব্লিউএফের পরিচালক মার্কো ল্যাম্বারটিনি বলছেন, এখন এই প্রাণীকে বাঁচিয়ে রাখতে জরুরি ভিত্তিতে সুরক্ষা নীতি নেওয়া দরকার। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে নির্ণায়ক লড়াই করতে হবে। তার মতে, বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী সংরক্ষণের বিষয়টি শুধু একটা পরিবেশগত সমস্যা নয়। এভাবে চলতে থাকলে একপর্যায়ে মানুষও ওই লাল তালিকায় চলে যাবে। তাই জীবনধারণের পদ্ধতি বদল করতেই হবে বলে মনে করেন মার্কো।
ডব্লিউডব্লিউএফের তৈরি করা বিলুপ্তির আশঙ্কায় থাকা এ বছরের পরাজিত প্রাণীদের তালিকার ওপরের দিকে রয়েছে আফ্রিকার বুনো হাতি। তাদের সংখ্যা ৩১ বছরে ৮৬ শতাংশ কমেছে। উষ্ণায়নের জন্য মেরুতে বরফের স্তর পাতলা হচ্ছে। তাই বিপাকে মেরু ভল্লুক। বরফ দ্রুত গলছে। কিন্তু ভল্লুকরা পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে না। ডব্লিউডব্লিউএফের মতে, ২০৩৫ সালের মধ্যে উত্তর মহাসাগর বা সুমেরু মহাসাগরে বরফ পুরোপুরি গলে যাবে। জার্মানির ট্রি ফ্রগের সংখ্যাও ৫০ শতাংশ কমে গেছে। তারাও এখন বিপদগ্রস্ত প্রাণী। সমানে বাড়ি তৈরি হওয়ায় এবং জঙ্গলের পরিমাণ কমে যাওয়ায় তাদের এ অবস্থা।
জার্মানির গ্রেট বাস্টার্ডের সংখ্যা ১৯৯৭ সালে কমে দাঁড়িয়েছিল ৫৭। এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ৩৪৭। ফলে এ বছর বিজয়ী প্রাণীর তালিকায় রয়েছে গ্রেট বাস্টার্ড। স্পেন ও পর্তুগালে আবার আইবেরিয়ান লিনক্স দেখা গেছে। ২০০২ সালে মাত্র ৯৪টি লিনক্স ছিল, এখন তার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১০০।