জন্মের পরপরই শিশু কাঁদে কেন?
সাতরং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৩৬ পিএম, ২ নভেম্বর ২০২০ সোমবার আপডেট: ০১:১১ এএম, ৩ নভেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার
জন্ম নেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উচ্চস্বরে কেঁদে ওঠে শিশু। কান্নাই হলো তার জন্মগ্রহণের সংকেত। তবে জন্মের পর অনেক বাচ্চা কাঁদে না। তাই না কাঁদলে তার পশ্চাদদেশে থাপ্পড় মেরে তাকে কাঁদানো হয়। কিন্তু জানেন কি, জন্মানোর সঙ্গে সঙ্গেই শিশু কেন কেঁদে ওঠে? আর যদি না কাঁদে তাহলে কী হয়? আসুন জেনে নিই, জন্মের পর শিশুর কান্নাকাটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
যে কারণে জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই শিশুর কান্না জরুরি
জন্মগ্রহণের সময় মায়ের গর্ভ থেকে আলাদা হয়ে যায় শিশু। জন্মের পর সে চিৎকার করে কেঁদে উঠলে বোঝা যায়, তার ফুসফুস ও হার্ট ঠিকঠাক কাজ করছে। কান্নার ফলে বাচ্চার স্বাস্থ্য সম্পর্কে অবহিত হওয়া যায়। শিশু খুব জোরে কেঁদে ওঠার মানে হলো সুস্থ আছে সে। অন্যদিকে, শিশুটি ধীর গলায় কান্নাকাটি করলে ধরা হয়, তার কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যা রয়েছে।
যে কারণে শিশু কাঁদে
জন্মের আগ পর্যন্ত মায়ের দেহের সঙ্গে সংযুক্ত আম্বিলিক্যাল কর্ড বা নাভিরজ্জুর মধ্য দিয়ে শ্বাস নেয় শিশু। আর জন্মানোর কয়েক সেকেন্ড পর নিজে থেকে নিঃশ্বাস নেয় সে। শিশু গর্ভের বাইরে এলে তার শরীরের বিভিন্ন ফ্লুইড নিঃসরণ হয়। এতে নবজাতকের হৃদপিণ্ডের শ্বাস-প্রশ্বাসের পথ বন্ধ হয়ে যায়। তাই চিৎকার করে কাঁদে সে। এই কান্নার কারণেই সেই পথ পরিষ্কার হয়ে যায়। এরপর শিশু স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারে।
শিশুর কতক্ষণ কাঁদা উচিত
এ নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। স্বাস্থ্যবান শিশুর একদিনে অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা কাঁদা উচিত। তবে ৪ ঘণ্টার বেশি কান্নাকাটি করলে অভিভাবকদের উচিত ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া। শিশু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কান্নার সময় কমতে থাকে।