মালদ্বীপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নাগরিক সংবর্ধনা
মোঃ ওমর ফারুক অনিক, মালদ্বীপ থেকে
প্রকাশিত: ০৪:৩৪ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১ রোববার আপডেট: ০৪:৩৭ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১ রোববার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মালদ্বীপের সরকারি সফরের কর্মকার্য শেষ করেন গত বৃহস্পতিবার। শুক্রবার ছুটির দিনে মালদ্বীপ প্রবাসীদের পক্ষ থেকে ভার্চুয়াল নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করেন মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনার রিয়ার এডমিরাল নাজমুল হাসান। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয় মালদ্বীপের রাজধানীর মালের ইস্কান্দার স্কুলের হলরুমে।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমি একটি সফল দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেছি। অনথিভুক্ত বাংলাদেশী শ্রমিকদের বৈধ করার বিষয়টি সংলাপে প্রাধান্য পেয়েছে। মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশীরা বর্তমানে যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হচ্ছেন তার সমাধানে তাঁর সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মালদ্বীপে বাংলাদেশী প্রবাসীরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ সরাসরি মালদ্বীপের মুদ্রায় যাতে দেশে পাঠাতে পারেন সে ব্যবস্থাও তিনি নেবেন, যাতে করে মালদ্বীপে বাংলাদেশী প্রবাসীদের লোকসানের মুখে না পড়তে হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানকার বিভিন্ন দ্বীপের অভিবাসীরা যাতে নির্বিঘ্নে দেশে টাকা পাঠাতে পারেন সেজন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংককে আমি বলবো এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য প্রয়োজনে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাটা করে দেবে যাতে ডলার কিনে আবার বাংলাদেশে পাঠানোতে যে লোকসানটা হয় সেটা যেন বন্ধ হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাড়ি-ঘর বিক্রি করে দালালের হাতে টাকা দেওয়ার কোনও দরকার নেই। বরং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া যাবে। ক্ষেত্র বিশেষে এই লোন কোনও জামানত ছাড়া দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে সেই ব্যাংকেই লোন শোধ করবেন। তারপরও মানুষের মাঝে একটা প্রবণতা আছে, কেউ এসে সোনার হরিণ ধরার সুযোগ দেখালো, সবাই সেই পথে দৌঁড়ালেন। তারপর বিপদে পড়েন। অনেক সময় মৃত্যু হয়। এ রকম বহু ঘটনা ঘটে যায়। এভাবে সোনার হরিণ ধরার পেছনে ছোটার কোনও দরকার নাই।
উল্লেখ্য, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে সংযোগ জোরদারে সম্মত হওয়ার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ বিমান ভারতের চেন্নাই হয়ে মালদ্বীপের সাথে বিমান যোগাযোগ চালু করার বিষয়ে গতকাল দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
প্রবাসী আহমেদ মুত্তাকির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, মালদ্বীপে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব দুলাল মাদবর, সি আই পি সোহেল রানা, বিশিষ্ট ব্যাবসায়িক বাবুল হোসেন।
উল্লেখ্য, গত ২২ শে ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহের আমন্ত্রণে মালদ্বীপে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চুক্তি বিনিময় ছাড়াও মালদ্বীপে বাংলাদেশের উপহার ১৩টি সামরিক যানের প্রতীকী চাবি হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি মালদ্বীপের সংসদে ভাষণ দেন এবং সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আগামী ২৭ শে ডিসেম্বর দেশের উদ্দেশ্য মালদ্বীপ ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী।